ডিএসএ : খাদিজার মুক্তি চেয়ে জবিতে ২ হাজার গণস্বাক্ষর
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩ ১:১৯ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩ ১:১৯ অপরাহ্ণ

জবি প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কোবরার মুক্তি ও সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে ৭ দিন ব্যাপী গণস্বাক্ষর কর্মসূচি করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গত মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এই গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শেষ হয় আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ২ টায়। সংগৃহীত গণস্বাক্ষরসহ আগামীকাল বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সবাবেশ ও ভিসি বরাবর স্মারকলিপি পেশ করবেন জবি শিক্ষার্থীরা।
গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে এসে বিভিন্ন মন্তব্য করে খাদিজাতুল কোবরার মুক্তি দাবি জানিয়ে স্বাক্ষর করেন শিক্ষার্থীরা। গণস্বাক্ষর কর্মসূচীর অন্যতম সমন্বয়ক ইভান তাহসিব বলেন, নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা বিনা বিচারে কারাগরে আটক। তার নিঃশর্ত মুক্তি ও সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে ক্যাম্পাসে স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচী চলছে। ছাত্রদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নিক। খাদিজা কোনো অন্যায় করেনি। সেই কথাটাই আমরা জানিয়ে দিতে চাই। এই কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় আমরা ভিসি বরাবর স্মারকলিপি দিবো।
গনস্বাক্ষর কর্মসূচির দায়িত্বে থাকা এক শিক্ষার্থী জানান, বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি আমাদের ইতিহাসে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। আমরা চাচ্ছি, খাদিজার বিচার হোক। সে কোনো অপরাধ করে থাকে তা আদালতে প্রমাণ হোক। কিন্তু বিচারহীনভাবে বছর ধরে তাকে আটকে রাখা মানবতাবিরোধী একটা কাজ। আমাদের দাবী যৌক্তিক, গণতান্ত্রিক আর মানবিক। আজ খাদিজার এই দুঃসময়ে যদি আমি আমরা আপনারা পাশে না দাঁড়াই তবে নিশ্চিত থাকেন, কাল আমার কিংবা আপনার পরিবারের কেউ এই অপসংস্কৃতির হিংস্র থাবার শিকার হবেন। পাশে দাঁড়ানোর কেউ থাকবে না।

শেষ দিন স্বাক্ষর করতে আসা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন বলেন, খাদিজা একজন উপস্থাপিকা হিসেবে তার জায়গা থেকে যে প্রশ্নগুলো করেছেন, সেগুলো তো সরকার বিরোধী কিছু ছিল না। অনুষ্ঠানের গেস্ট মেজর দেলোয়ার হোসেন সরকার বিরোধী কিছু বলে থাকলে সেটা তো খাদিজার দোষ না। সে শুধু উপস্থাপিকার দায়িত্ব পালন করেছে। দোষ প্রমান হওয়ার আগে খাদিজার এক বছর জেলে থাকা কোনভাবেই ন্যায়সংগত নয়। বিচারিক কার্য শুরু এবং দোষ প্রমান হওয়ার আগেই এক বছর একজন ছাত্রীকে জেলে থাকতে হয়েছে, ব্যাপারটা দুঃখজনক। আমি দ্রুত তার মুক্তি চাই।
উল্লেখ্য, খাদিজা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২২ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও মেজর (অব.) দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খাইরুল ইসলাম এবং অন্যটির বাদী কলাবাগান থানার এসআই আরিফ হোসেন। উক্ত মামলায় গত এক বছরের উপরে জেলে আছেন খাদিজা। এর আগে জবিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খাদিজাতুল কোবরার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন।
জনতার আওয়াজ/আ আ
