“তেত্রিশ বছর পর আরেকটি পতনের অপেক্ষায় বাংলাদেশ “ – জনতার আওয়াজ
  • আজ বিকাল ৪:৩৫, সোমবার, ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১০ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • jonotarawaz24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

“তেত্রিশ বছর পর আরেকটি পতনের অপেক্ষায় বাংলাদেশ “

নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ: বুধবার, জানুয়ারি ১১, ২০২৩ ১:১৬ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: বুধবার, জানুয়ারি ১১, ২০২৩ ১:১৬ অপরাহ্ণ

 

সায়েক এম রহমান
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ বিবিসির ডেবিট এডমন্ডসের একটি রিপোর্ট ছিল, একজন স্বৈরশাসককে ক্ষমতা থেকে সরাতে কত মানুষকে রাস্তায় নামতে হয়? নিউজ টি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। যদিও আমার অন্য একটি কলামে লেখা আছে, তারপরও সময়ের প্রয়োজনে আবারও লিখছি একজন স্বৈরশাসক কে বিদায় করতে কোন কৌশল বেশী কার্যকরী? প্রশ্ন সহিংস আন্দোলন না অহিংস আন্দোলন? আর স্বৈরশাসক কে ক্ষমতা থেকে সরাতে বিক্ষোভ গুলি কত বড় হতে হবে? এবং কত মানুষকে জড়ো করতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি।
হার্ভাডের একজন গবেষক এ সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গবেষণা চালিয়েছেন বিগত কয়েক দশকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে সব দেশে গণআন্দোলন ও গণবিক্ষোভ হয়েছে সে দেশগুলোর উপর। এ সব গবেষণার ভির্ত্তিতে তিনি পেয়েছেন কোন জনগোষ্ঠীর মাত্র তিন দশমিক পাঁচ শতাংশ মানুষ যদি গণআন্দোলন বা গণবিক্ষোভে যোগ দেন, তাতেই একটা স্বৈর সরকার পতন হয়ে যায়।
সেইদিক থেকে পর্যালোচনা করলে বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনুযায়ী প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ রাস্তায় চলে আসলে একটি ফ্যাসিষ্টের পতন অনিবার্য।
বিগত কয়েক দশকে বিশ্বের স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্হার পতন ঘটানোর সফল আন্দোলনের অনেক নজির রয়ে গেছে। যেমন আশির দশকে পোল্যান্ডে হয়েছিল সলিডারিটি আন্দোলন। যার নেতৃত্ব দিয়েছিল শ্রমিক ইউনিয়ন গুলো। এছাড়া দক্ষিণ বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন। চিলির স্বৈরশাসক আগাস্তো পিনোশের পতন ঘটেছিল গণআন্দোলনের মুখে। সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট স্লোবোদান মিলাসেভিচকে ক্ষমতা থেকে সরানো হয় সফল আন্দোলনের মাধ্যমে।
একেবারে নিকটতম উদাহরণ হলো আরব বসন্তের সূচনা হয়েছিল, ২০১০ সালে ২৩ বৎসরের স্বৈরশাসক জয়নাল আবেদীন বিন আলীকে তিউনিসিয়া থেকে বিদায়ের মাধ্যমে। সেখানে এই গণঅভ্যুত্থানের নাম দেওয়া হয়েছিল ” জাসমিন বিপ্লব “।
এছাড়াও ত্রিশ বৎসরের শক্তিশালী স্বৈরশাসক হোসনে মোবারক তাহরির স্কয়ারে মাত্র তিন সপ্তাহের একটি গণআন্দোলনের মুখে লজ্জা জনক বিদায় নিতে হলো মিশর থেকে। আর প্রায় চার দশকের আরেক শক্তিশালী
স্বৈরশাসকের করুণ পতন হলো লিবিয়ার কর্ণেল গাদ্দাফির।
আর সদ্য আরেকটি সফল বিপ্লবের উদাহরণ হয়েছিল সুদানে,সেখানেও আন্দোলনের মুখে করুণ ভাবে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিল অমর আল বশিরকে। প্রায় একই অবস্থায় বিদায় নিতে হয়েছিল আলজেরিয়ার আবদেল আজিজ বুতেফ্লিকাচে।
এ ভাবেই আন্দোলনের পথ ধরে ধরে বিশ্বের সকল ফ্যাসিষ্টরা লজ্জা জনক বিদায় নিতে হচ্ছে। বাংলাদেশও তার বাহিরে নয়।
বাংলাদেশ দেখেছে স্বৈরশাসক আইয়ুব, এয়াহিয়া, ও এরশাদের পতন!
এরশাদের পতনের ৩৩ বৎসর পর আরেকটি পতনের অপেক্ষায় বাংলাদেশ।
ইতিহাস বলে গেছে সব ফ্যাসিষ্টরা এক বাপেরই সন্তান! তাদের রুপ, গন্ধ ও লক্ষ্য ছিল এক। মূল লক্ষ্য থাকে স্বৈরতান্ত্রিক একনায়কত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করা এবং সৌখিন জীবন পরিচালনা করা, এটাই থাকে তাদের খায়েস! কিন্তু আসল সত্য কথা হল,,, ” কোন ফ্যাসিষ্টের ই খায়েস কিন্তু পূর্ণ হয় না”।
সায়েক এম রহমান

সায়েক এম রহমানের ফেইসবুক থেকে

Print Friendly, PDF & Email
 
 
জনতার আওয়াজ/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ