দিল্লির অনাপত্তিপত্র নিয়ে চীন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শুক্রবার, জুলাই ৫, ২০২৪ ৬:০৯ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শুক্রবার, জুলাই ৫, ২০২৪ ৬:০৯ অপরাহ্ণ

জনতার আওয়াজ ডেস্ক
বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন—প্রধানমন্ত্রী চীন সফরে যাচ্ছেন ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে। বিশ বিলিয়ন ডলার তিনি চাচ্ছেন। আর চীনে যাওয়ার জন্য উনাকে অনুমতি নিতে হয়েছে। দিল্লির অনাপত্তিপত্র নিয়ে চীন যাচ্ছেন তিনি। আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা বলছেন—শেখ হাসিনা চীনে যাচ্ছেন তাতে ভারতের কোন আপত্তি নেই।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চীন যেতে ভারতের সার্টিফিকেট নিতে হয়। তাহলে কোথায় আজ স্বাধীনতা? যে স্বাধীনতার পতাকা এদেশের মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের রক্ত দিয়ে অর্জন করেছিল সেটা আজ কোথায় ? ৩০ লক্ষ মা—বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম সেটা আজ কোথায়? আজকে ভারতের অনুমতি নিয়ে শেখ হাসিনাকে চীন যেতে হয়। এই লজ্জা আজকে এই জাতির। এই কাজ বেগম খালেদা জিয়া করেননি।
শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, শ্রমিকদল নেতা সুমন ভূইয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে শ্রমিক দল ঢাকা মাহনগরের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিলটি নয়পাল্টন থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল—ফকিরাপুল মোড় হয়ে আবার নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়।
রিজভী আরও বলেন, শ্রমিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আজ কাঁচা মরিচের দাম ৩২০ টাকা, শাকসবজির দাম সেঞ্চুরি পার হয়ে গেছে। টমেটোর ডাবল সেঞ্চুরি পার হয়ে গেছে। শ্রমিকরা এই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যা কিনতে পারবে না।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, এই যে অনাচার, জনগণের পেটে লাথি মেরে শেখ হাসিনা সরকারী কর্মকর্তাদের সুযোগ করে দিয়েছেন কোটি কোটি টাকা লুটপাটের। বেনজীর—আজিজদের শুধু এক/দুই কোটি টাকা নয়, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছেন। সরকারী কর্মকর্তারা শুধু মুজিব কোট পরে জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে তারা আজকে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন।
রিজভী আরও বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার কৌশল ব্যর্থ হয়েছে। সুমন ভুঁইয়াদের কারাগারে নিলে সবুজরা রাজপথে বের হবে। হামলা-মামলা-গ্রেপ্তার-নির্যাতন করে নেতাকর্মীদের দমন করা যাবে না। আপনার মূয়ুর সিংহাসন লুটেপুটে ভেঙে চুরমার করে দিবে জনগণ। একনায়কতন্ত্র কায়েম করে হিটলার-মুসোলিনিরা রেহাই পায়নি, আপনিও পাবেন না। বাবরই ফ্যাসিস্টরা একনায়করা ভুলে যান যে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তারা মনে করে আজীবন তারা ময়ূরসিংহাসনে বসে তারা রাজত্ব করবে আর বিরোধীদের কন্ঠকে রুদ্ধ করবেন। কিন্তু পৃথিবীতে এটা হয় না, ময়ূর সিংহাসন যারা বানিয়েছিলেন এর আগে তারা নেই তাদের সেই ময়মনসিংহাসন রক্ষাও করতে পারেনি।ইরানের নাদির শাহ দিল্লি থেকে নিয়ে চলে গেছেন সুতরাং শেখ হাসিনা যেটা ভাবছেন আপনার ঐ চেয়ার আপনার ওই গদি আপনার ওই ময়ূর সিংহাসন আর থাকবে না। জনগণ ওটা লুটিয়ে দিবে রাস্তায়, এটা আপনি মনে করতে পারছেন না। আপনি যেভাবে টিকে আছেন এইভাবে হিটলার টিকে থাকতে চেয়েছিল, এভাবে আরো অনেকেই টিকে থাকতে চেয়েছিল মুসোলিনি হালাকুকা এরাতো ইতিহাসের রাস্তা করে ইতিহাসের ডাস্টবিনে মানুষ ঘৃণার সাথে তাদেরকে স্মরণ করে।
এসময় তিনি অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দাবি করেন।
এড. শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, সুমনদের গ্রেফতার করে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন না। ষড়যন্ত্র করে ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে পারবেনা। অচিরেই আপনার তক্তে তাউস ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে। জনগণ আপনাদের ক্ষমতা থেকে টেনে নামাবে।
মিছিলে আরও অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, দলের সহ শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, মামুন মোল্লা, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, ওলামা দলের আহবায়ক সেলিম রেজা, সদস্য সচিব আবুল হোসেন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুগ্ম আহবায়ক রানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, শ্রমিক দলের সবুজ, শাহআলম, যুবদলের মেহেবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের ডা. আউয়াল, মাসুদুর রহমান, রাজু আহমেদ, ইমাম হোসেনসহ শ্রমিক দলের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী।
জনতার আওয়াজ/আ আ
