দিল্লি থেকে খালি হাতে ফিরলে রাজনৈতিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলব: ফারুক - জনতার আওয়াজ
  • আজ বিকাল ৫:৩৯, বুধবার, ১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
  • jonotarawaz24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

দিল্লি থেকে খালি হাতে ফিরলে রাজনৈতিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলব: ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ: শুক্রবার, জুন ২১, ২০২৪ ২:২৯ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: শুক্রবার, জুন ২১, ২০২৪ ২:২৯ অপরাহ্ণ

 

জনতার আওয়াজ ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফর প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, সরকার প্রধান আজকে দিল্লি যাবেন। কি নিয়ে আসবেন সেটা আমরা দেখব। এবার দিল্লি থেকে খালি হাতে আসলে দেশের জনগণ আর আপনাকে ক্ষমা করবে না। রাজনৈতিকভাবে আপনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

শুক্রবার (২১ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের মাটির উপর দিয়ে রেললাইন নির্মাণের প্রস্তাবের প্রতিবাদ শীর্ষক এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদ।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আজকে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে সমস্যার সৃষ্টি আপনি করেছেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড সম্পন্ন ভেঙে দিয়েছেন। শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ করতে আপনি ব্যর্থ হয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষকে আপনি তাদের সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন। আপনি বাংলাদেশে এমন এক বাজেট দিয়েছেন যে বাজেটে আমি কষ্টার্জিত উপার্জনে ট্যাক্স দিব। আর যারা কোটি কোটি টাকা চুরি করে ১৯ % ট্যাক্স দিয়ে তারা বৈধতা আনবে। তাদেরকে আপনি আমাদের সাথে সমান করে দিয়েছেন। এই লুটেরা সরকার, এই দুর্নীতিবাজ সরকার, এই ইন্ডিয়ান প্রীতি সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ তাদের হিসাব আদায় করে নিবে। আপনার অন্যায় অত্যাচার আর গ্রহণ করবে না।

সিলেটে চলমান বন্যা পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায়ী করে বিএনপির এই নেতা বলেন, কাউকে খুশি করার জন্য যদি কিশোরগঞ্জের মিটাইনে বাঁধ নির্মাণ করে বাংলাদেশের অগণিত মানুষকে আজকে পানিতে ডুবিয়ে দিয়েছেন। কোনো ব্যক্তি বিশেষকে খুশি করার জন্য এই বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে যা সিলেটের মানুষের জন্য আজ একটি উপহাস হয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশের উপর দিয়ে ভারতীয় রেললাইন নির্মাণের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বিএনপি’র সাবেক এই সাংসদ বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু। তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদেরকে অস্ত্র দিয়েছে। তারা আমাদের প্রতিবেশী। তাই ভারতকে আমরা কোনদিনও অবজ্ঞা করতে চাই না। কিন্তু ভারতের গণতন্ত্র থাকবে। আর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ভারত সরকার সহযোগিতা না করে যারা দিনের ভোট রাতে করে, তাদেরকে সহযোগিতা করে যাবে। আমাদের ন্যায্য হিস্যা দিবে না। ন্যায্য হিস্যা পেতে গেলে আমাদের সীমান্তে গুলি করে মানুষ মারবে। সে বন্ধু তো বাংলাদেশের মানুষ চায়না। তাই বাংলাদেশের মানুষ আজ বলতে শুরু করেছে ভারত তুমি আমাদের বন্ধু থাকো। বন্ধু বলে তুমি বাংলাদেশের সব কিছু কেড়ে নিয়ে যাবে। আমাদের ন্যায্য হিস্যা দিবে না। বাংলাদেশের জনগণ গরীব হতে পারে কিন্তু আমাদের আত্মমর্যাদা অনেক বড়। তাই আপনাদেরকে জানিয়ে দিতে চাই বাংলাদেশের ন্যায্য হিসাব আপনাদেরকে দিতেই হবে।

তিনি আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশের যে করুণ অবস্থা তার জন্য দায়ী কারা? আপনারা রেললাইন নির্মাণ করবেন আর ক্যান্সারের নমুনা পাওয়া পণ্য বাংলাদেশের রপ্তানি করবেন। বাংলাদেশের মানুষ কোনদিনও সেটা গ্রহণ করবে না। আমরা দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই হাফপ্যান্ট পড়ে, খালি পায়ে যুদ্ধ করে যে দেশ স্বাধীন করেছি, রাহুল পিন্ডের জিঞ্জির আমরা ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছি। তাই বলে আজকে দিল্লির আগ্রাসন মেনে নিব। বাংলাদেশের মানুষ কখনো সেটা গ্রহণ করবে না।

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, সাবেক দুই পুলিশ প্রধান বেনজির আহমেদ ও আসাদুজ্জামান মিয়ার সম্পদ অনুসন্ধানের প্রকাশিত সংবাদ সম্পর্কে বিএনপির এ নেতা বলেন, কিছুসংখ্যক আমলা, কিছু সংখ্যক পুলিশ কর্মকর্তা দিয়ে বাংলাদেশে অন্যায়ভাবে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদেরকে দমন করার অপচেষ্টা করেছেন। তার প্রমাণ হলো বেনজির, তার প্রমাণ হলো আজিজ আহমেদ।

আজিজ আহমেদ , বেনজির আহমেদ, আসাদুজ্জামান মিয়া আপনারা এখন কোথায়? আপনারা যাদেরকে বিনা ভোটে এমপি হতে, মন্ত্রী হতে, রাষ্ট্র পরিচালনা করতে সহযোগিতা করেছেন তারাই আজকে বলে আপনাদেরকে বিচার করা হবে। তাই আহ্বান জানাবো এখনো দুর্নীতিবাজ আমলা যারা এখনো চাকরিতে আছেন তাদের লিস্ট দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরুন। চাকরি গেলে, অবসরে গেলে বলবেন তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে। এখন কেন করা হচ্ছে না। এখন কেন তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। কিছুসংখ্যক আমলা দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় কিন্তু সেটা দীর্ঘায়িত হয় না।

নিজ দল ও আয়োজক সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, কে প্রমোশন পাইছেন, কে প্রমোশন পান নাই। সেটা বড় বিষয় নয়। বড় বিষয় হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে যেভাবে শহীদ জিয়াউর রহমান অবদান রেখেছেন সেই শহীদ জিয়ার মতই বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষার আন্দোলনে সকলকে শরিক হতে হবে।

আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি ডা. মো. মাইনুল ইসলাম বাদল তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আ ক ম মোজাম্মেল, রেজাউল হক, বিএনপির সহ তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এ এইচ এম সাইফ আলীসহ আয়োজক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

Print Friendly, PDF & Email
 
 
জনতার আওয়াজ/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ