পদত্যাগ ছাড়া টিউলিপের কোনো উপায় ছিলো না!
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বুধবার, জানুয়ারি ১৫, ২০২৫ ৪:০৯ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বুধবার, জানুয়ারি ১৫, ২০২৫ ৪:০৯ অপরাহ্ণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাজ্যে, তবে বাংলাদেশের আওয়ামী বিরোধী শিবিরের মধ্যে এই খবরটি নিয়ে এক ধরনের জয়ের আনন্দ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু কেন? ঘটনাটি হলো, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভাগনি ও যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক তার পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতি বিষয়ক সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এবং তার কাঁধে ছিল দেশটির আর্থিক খাতে দুর্নীতি বন্ধ করার দায়িত্ব।
তবে, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, শেখ হাসিনা সরকারের সময় কিছু দুর্নীতির ঘটনা এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কাছ থেকে তার সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগের ফলে তিনি পদত্যাগ করেন। তিনি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে এই খবরটি জানান। সেখানে উল্লেখ করেন, ব্রিটিশ সরকারের প্রতি বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ার কারণে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
২০১৪ সালে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে ৮০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের মধ্যে টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও নাম উঠে আসে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
দুদকের তদন্ত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গণমাধ্যম টিউলিপ সিদ্দিককে ঘিরে একাধিক খবর প্রচার করেছে। বিশেষ করে, ২০১৩ সালে শেখ হাসিনার মস্কো সফরের সময়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একটি ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, ব্রিটিশ সরকারকে টিউলিপকে বরখাস্ত করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুধু যুক্তরাজ্যেই সীমাবদ্ধ নেই; বাংলাদেশেও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত চলছে। বিশেষ করে, রাশিয়ার অর্থায়নে নির্মিত বাংলাদেশের একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রূপপুর পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্পে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া, ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের দুটি টিকিট সাবেক এক বাংলাদেশি এমপির কাছ থেকে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
জনতার আওয়াজ/আ আ
