ফেনীতে বিএনপির দুই গ্রুপের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আটক ৩৫
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বুধবার, এপ্রিল ১৬, ২০২৫ ১২:৫০ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বুধবার, এপ্রিল ১৬, ২০২৫ ১২:৫০ পূর্বাহ্ণ

জেলা প্রতিনিধি, ফেনী
ফেনীতে বাজার ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৩৫ জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার জেলার দাগনভূঞা উপজেলার শহরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দলটির উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ভাই ও স্থানীয় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন সঙ্গে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকসহ বিএনপির অন্য একটি মধ্যে গত চারমাস ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে।
সম্প্রতি দাগনভূঞা বাজারের ইজারা নেন আকবরের এক অনুসারী। এ নিয়ে সোমবার (১৪ এপ্রিল) ফটিকের অনুসারীদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও থেমে থেমে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে দুইপক্ষের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। খবর পেয়ে প্রথমে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরবর্তীতে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দুপুরের পর থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযানে উভয়পক্ষের ৩৩ নেতাকর্মীকে আটকের পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি (সদ্য বহিষ্কৃত) কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক বলেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আকবর হোসেনের লোকজন আগে থেকেই বাজারে এসে মহড়া দেওয়ার ঘোষণা দেন। সেই অনুযায়ী আজ সকাল থেকে তারা দাগনভূঞা জিরো পয়েন্টে এসে প্রকাশ্যে গুলি করে। একপর্যায়ে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছে। এতে যুবদল নেতা চৌধুরী রিয়াদ, লিটন, রাসেল, রিয়াজ, রাজু ও হানিফসহ আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এখন আবার আমাদের কিছু নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করেছে। বিষয়গুলো দলের শীর্ষ নেতাদের অবহিত করা হয়েছে।
অপরদিকে দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন বলেন, ইজারার ব্যাপারটি প্রশাসনিক বিষয়। সম্প্রতি আমাদের এক কর্মী বাজার ইজারা পাওয়ার পর নিয়মানুযায়ী টাকা তুলতে গেলে বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক বাধা দিয়ে তারা টাকা তুলবে বলে জানান। আজও আমাদের কিছু নেতাকর্মী বাজারে অবস্থান করা অবস্থায় তারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
ফেনীর সহকারী পুলিশ সুপার দাগনভূঞা-সোনাগাজী সার্কেল তসলিম হুসাইন যৌথ বাহিনী অভিযানে ৩৫ জন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এর আগে দাগনভূঞা বাজার ইজারাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। একইসময় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের পাশে বিস্ফোরণে আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল।
জনতার আওয়াজ/আ আ
