বেনজীরকে ধরতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড এলার্ট জারির আদেশ - জনতার আওয়াজ
  • আজ সকাল ৬:০০, সোমবার, ২৪শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
  • jonotarawaz24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

বেনজীরকে ধরতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড এলার্ট জারির আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ: সোমবার, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫ ৭:২১ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: সোমবার, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫ ৭:২১ অপরাহ্ণ

 

জনতার আওয়াজ ডেস্ক

পুলিশের সাবেক মহাপরিদশক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।

এর আগে রোববার কমিশন আদালতে আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়। সেই প্রেক্ষিতে দুদকের কর্মকর্তা মো. হাফিজুল ইসলাম বেনজীর আহমেদকে ধরতে ইন্টারপোলে রেডএলার্ট জারির জন্য আবেদন করেন।

দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, আদালতের অনুমতি পেলেই সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চলে যাবে। এরপর মন্ত্রণালয় তাদের প্রক্রিয়া অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। বিষয়টি তদারকি করছেন দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা।

এর আগে ৭৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের বিরুদ্ধে গত ১৫ই ডিসেম্বর পৃথক চারটি মামলা করে দুদক।

বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়, বেনজীর ৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ২ কোটি ৬২ লাখ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। তার স্ত্রী জীশান মীর্জা ৩১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ১৬ কোটি ১ লাখ টাকার তথ্য গোপন করেছেন। তাদের বড় মেয়ে ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর ৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকার এবং মেজ মেয়ে তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীর ৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ছাড়াও গত ১৪ই অক্টোবর পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে বেনজীর আহমেদসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। এজাহারে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিজীবী হওয়া সত্ত্বেও বেসরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট বানিয়ে ‘জাল জালিয়াতি-প্রতারণার’ আশ্রয় নেন সাবেক এই আইজিপি। বিভাগীয় অনাপত্তিপত্র ছাড়াই পাসপোর্টের আবেদন করেন তিনি। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা দাপ্তরিক পরিচয় সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে ‘জ্ঞাত’ থেকেও বিভাগীয় অনাপত্তি সনদ ছাড়াই স্বেচ্ছায়-স্বজ্ঞানে পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক অসদাচরণের মাধ্যমে আসামি বেনজীর আহমেদের নামে সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যু করেছেন। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক মো. ফজলুল হক, মুন্সী মুয়ীদ ইকরাম, টেকনিক্যাল ম্যানেজার মোছা. সাহেনা হক, পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে এই মামলা বেনজীরের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ১২ই জুন বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা ৮টি ফ্ল্যাট এবং ২৫ একর (১ একর সমান ৬০ দশমিক ৫ কাঠা) ২৭ কাঠা জমি জব্দ করার (ক্রোক) আদেশ দেন আদালত। এসব ফ্ল্যাট ঢাকার বাড্ডা ও আদাবরে এবং জমি নারায়ণগঞ্জ, বান্দরবান ও উত্তরায়। এ ছাড়া দুই দফায় বেনজীর ও তার পরিবারের নামে গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরে ৬২১ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার, গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। এ ছাড়া ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব এবং তিনটি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।

Print Friendly, PDF & Email
 
 
জনতার আওয়াজ/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ