বেসরকারী পর্যায়ে মিডওয়াইফদের কাজের সুযোগ বৃদ্ধির দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
মঙ্গলবার, অক্টোবর ১, ২০২৪ ৪:৩৭ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
মঙ্গলবার, অক্টোবর ১, ২০২৪ ৪:৩৭ অপরাহ্ণ
জনতার আওয়াজ ডেস্ক
প্রায় ৯ হাজার মিডওয়াইফ বিশেষায়িত শিক্ষা গ্রহণ করার পর, কম্পিটেন্ট হওয়ার পরও মিডওয়াইফরা বেকার হয়ে বসে আছেন। এমন পরিস্থিতিতে তারা প্রায় হতাশাগ্রস্থ। তাই বেসরকারী পর্যায়ে মিডওয়াইফদের আরও বেশী করে কাজের সুযোগ করে দেয়া উচিত বলে দাবি করে বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটি (বিএমএস)।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটি (বিএমএস) আয়োজিত ‘সুস্থ শিশু, সুস্থ মা, মিডওয়াইফ ছাড়া হবে না শীর্ষক ‘গোলটেবিল বৈঠকে এই দাবি জানানো হয়।
গোলটেবিল বৈঠকে সংগঠনের সভাপতি আসমা খাতুন মিডওয়াইফদের তথ্য তুলে ধরে বলেন, মিডওয়াইফ হচ্ছে দক্ষ, প্রশিক্ষিত, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত মা ও নবজাতক শিশু স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী। একজন মা গর্ভধারণ পূর্ববর্তী পরিকল্পনা থেকে শুরু করে, গর্ভকালীন, প্রসবকালীন এবং প্রসব পরবর্তী সময়ে মিডওয়াইফের সার্বিক তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করতে পারেন। বর্তমানে, বাংলাদেশে ৭২৩০ জন লাইসেন্সপ্রাপ্ত মিডওয়াইফ (বিএনএমসি রিপোর্ট ৩১-জুলাই-২০২৩ অনুযায়ী) রয়েছেন। যাদের মধ্যে ২,৫৫৭ জন মিডওয়াইফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ইউনিয়ন সাব সেন্টারে কর্মরত।
এসময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সংগীতা সাহা প্রেমা বলেন, মা ও নবজাতক শিশুর মৃত্যুহার কমাতেই চিকিৎসা খাতে মিডওয়াইফদের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
বিএমএস এর সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দা মাহফুজা ঝুমু বলেন, মিডওয়াইফদের উন্নয়নে তাদের শিক্ষার সুযোগ এবং কর্মপরিধি আরও প্রসারিত করার জন্য নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে মিডওয়াইফদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি যুক্তিসংগত। প্রায় ৯ হাজার মিডওয়াইফ বিশেষায়িত শিক্ষা গ্রহণ করার পর, কম্পিটেন্ট হওয়ার পরও বেকার হয়ে বসে আছেন; তারা প্রায় হতাশাগ্রস্থ। বেসরকারী পর্যায়ে মিডওয়াইফদের আরও বেশী করে কাজের সুযোগ করে দেয়া উচিত।
এসময় বিএমএস এর পক্ষ থেকে এরই মধ্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে লিখিত আকারে দাবি তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান বক্তারা।
গোলটেবিল বৈঠকে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এহতেশাম, বিএমএস এর প্রজেক্ট ম্যানেজার শারমিন শবনম জয়া প্রমুখ।