বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে সবাইকে এক প্ল্যাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে - জনতার আওয়াজ
  • আজ সকাল ৬:১৬, সোমবার, ২৪শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
  • jonotarawaz24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে সবাইকে এক প্ল্যাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ: রবিবার, মার্চ ২, ২০২৫ ৮:৫০ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: রবিবার, মার্চ ২, ২০২৫ ৮:৫০ অপরাহ্ণ

 

জনতার আওয়াজ ডেস্ক
দেশকে এগিয়ে নিতে দেশের আলেম সমাজকে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতের ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

তিনি বলেন, ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে এক প্ল্যাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এ দেশে কোনো বৈষম্যের স্থান দেওয়া হবে না। বিপ্লবোত্তর অনেক কিছু হবে বলে কল্পকাহিনী প্রচার করা হলেও তার এক ভাগও হয়নি। যা হয়েছে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা তাও সমর্থন করি না।

রোববার (২ মার্চ) রাজধানীর মিরপুর-১৪ এর একটি রেস্টুরেন্টে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের উদ্যোগে ঢাকা-১৫ আসনের উলামায়ে কেরাম ও এতিমদের সম্মানে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জামায়াত আমির।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা, ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, ইয়াসিন আরাফাত।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আলেম ও তালেব উভয়ই সুসংবাদ প্রাপ্ত। কারণ, হাদিসে রাসূল (সা.)-এ বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই উত্তম যিনি নিজে কুরআন শিক্ষা করেন এবং অপরকে শিক্ষা দেন’। আমরা আজ তাদের সঙ্গে মিলিত হতে পেরে গর্ববোধ করছি। তিনি দেশ, জাতি ও ইসলামের কল্যাণে দেশের আলেম সমাজকে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

জামায়াত আমির বলেন, দ্বীনই আমাদের জীবনোদ্দেশ্য। দেশে দ্বীনের শিক্ষা যত সম্প্রসারিত হবে, ততই সমাজ আলোকিত হয়ে উঠবে। আর দ্বীনের শিক্ষা সংকোচিত হলে নেমে আসবে অন্ধকার। যার প্রমাণই হচ্ছে পতিত আওয়ামী লীগের প্রায় ১৬ বছরের অপশাসন-দুঃশাসন। সেসময় দেশবরেণ্য আলেম-উলামাদের সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে। তাদের হাতে হ্যান্ডকাফ আর পায়ে ছিল ডান্ডাবেড়ি। অথচ চোর, ডাকাত, অপরাধী ও সমাজবিরোধীরা গোটা দেশ নির্বিঘ্নে দাপিয়ে বেড়িয়েছে।

তিনি নিজের গ্রেপ্তারের দুঃসহ স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল গভীর রাতে। কিন্তু আমাকে আয়নাঘরে রাখা না হলেও আমি তা দেখেছি। এমনভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল যেন তারা কোনো ভয়ংকর অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রথম কয়েকদিন কেরানীগঞ্জ কারাগারে রাখার পর আমিসহ ৩৮ জন বরেণ্য আলেমকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে বদলি করা হয়। গাড়িতে আমি ছাড়া প্রত্যেকের হাতে হ্যান্ডকাফ ও পায়ে বেড়ি পড়া দেখে আমি কেঁদেছি। কিন্তু মহান আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের জন্য একটি স্বস্তিদায়ক পরিবেশ দিয়েছেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এ দেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও নানা ধর্মের মানুষের বসবাস। তারা সকলেই বাংলাদেশের নাগরিক। মানুষ হিসেবে সকলের কল্যাণে কাজ করা আমাদের কর্তব্য। ছাত্র-জনতার সফল আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা নতুন এক বাংলাদেশ পেয়েছি। তারা ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকলের নিরাপত্তার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করেছে।

Print Friendly, PDF & Email
 
 
জনতার আওয়াজ/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ