ভারি বৃষ্টিতে মৌলভীবাজারে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি - জনতার আওয়াজ
  • আজ রাত ৮:২৭, মঙ্গলবার, ১৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
  • jonotarawaz24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

ভারি বৃষ্টিতে মৌলভীবাজারে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ: মঙ্গলবার, জুন ১৮, ২০২৪ ৯:০০ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: মঙ্গলবার, জুন ১৮, ২০২৪ ৯:০০ অপরাহ্ণ

 

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
উজানের পাহাড়ি ঢলে ও ভারি বৃষ্টিতে মৌলভীবাজার সদর, রাজনগরসহ সাতটি উপজেলারই নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা হয়েছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ঈদুল আজহার দিনেও ভোগান্তিতে পড়েন মুসল্লিরা। পানিবন্দি অনেক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠছেন।

জানা যায়, সোমাবর (১৭ জুন) ভোর থেকেই মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় টানা বৃস্টিপাত হয়। এতে করে ডুবে যায় নিম্নাঞ্চলের রাস্তা ঘাট। ঈদের দিনে এই টানা বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেক ঈদগাহে পানি উঠে যাওয়ায় ঈদের নামাজ হয় উচুঁস্থান ও মসজিদে। অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে জেলার প্রায় সাতটি উপজেলার প্রায় বিশটি ইউনিয়নের ৫ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন।

সরেজমিন জানা গেছে, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড পানিতে তলিয়ে গেছে। মনুমুখ ইউনিয়নেরও কয়েকটি ওয়ার্ডে পানি বেড়ে বন্যা হয়েছে। ঈদে দিন নামাজ ঈদগাহে গিয়ে আদায় করতে পারেননি নিম্নাঞ্চলের মানুষ। পশু কোরবানি দিতে গিয়ে পড়ছেন বিড়ম্বনায়। চারদিকে পানি থাকায় ও অঝোর ধারায় বৃষ্টিপাত হওয়ায় এই সমস্যায় পড়েন মানুষ। বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন অনেকে। কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়ে রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ও ফহেতপুরসহ কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, জুড়ি ও বড়লেখা উপজেলার হাকালুকি হাওর এলাকা, রাজনগর ও সদর কুশিয়ারি নদীর পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলার নিচু এলাকায় ভারি বর্ষনে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

খলিলপুর ইউনিয়নের হামরেকোনা গ্রামের বাসিন্দা মামুন কালবেলাকে বলেন, দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে এবার পানি বেশি বেড়েছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। যার কারণে বাড়ি থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। পানি বাড়তেই আছে। ঈদের দিন নামাজ আদায় ও পশু কোরবানি দিতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে মুসল্লিদের।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে মাত্র ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজ বেড়ে গিয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় এই অঞ্চলে ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজারের আজ সোমবার বেলা ৩টায় কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা ছুই ছুই হয়ে প্রবাহিত হয়েছে। যার কারণে ওই এলাকার কিছু এলাকা প্লাবিত হবে। কয়েকটি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, আমার খলিলপুর ও মনুমুখ ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়েছে।মাইকিং করা হয়েছে যাতে সবাই আশ্রয়কেন্দ্রে যান। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্রে হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম কালবেলাকে বলেন, মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগরের কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। জুড়ি ও বড়লেখা উপজেলায় বন্য কবলিতদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় আমরা সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছি। জেলার প্রতিটি উপজেলার ইউএনওদের নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ আছে।

Print Friendly, PDF & Email
 
 
জনতার আওয়াজ/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ