ভুল ইনজেকশনে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল বন্ধের দাবি - জনতার আওয়াজ
  • আজ সকাল ৬:১২, শুক্রবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
  • jonotarawaz24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

ভুল ইনজেকশনে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল বন্ধের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ: শনিবার, এপ্রিল ১২, ২০২৫ ২:১৯ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: শনিবার, এপ্রিল ১২, ২০২৫ ২:১৯ অপরাহ্ণ

 

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল ইনজেকশনে এক প্রবাসী যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতাল বন্ধ ও ডাক্তারের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে নিহতের স্বজনেরা।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে নিহতের স্বজনেরা উপজেলার বসুরহাট বাজারে এ বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা অভিযুক্ত ডাক্তারের গ্রেপ্তার ও হাসপাতাল বন্ধের দাবিতে বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ওই প্রবাসী যুবকের মৃত্যু হয়।

নিহত শাহরিয়ার মাহমুদ আবির (২৮) উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের সানাউল্যাহ বাহারের ছেলে এবং আবুধাবি প্রবাসী ছিলেন।

নিহতের ছোট ভাই ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন জানান, গত পাঁচ বছর ধরে আমার বড় ভাই আবির আবুধাবিতে বাবার সাথে ব্যবসা করত। গত তিন বছর আগে তিনি বিয়ে করেন। প্রতি বছর তিনি দেশে আসা যাওয়া করতেন। গত বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি আবুধাবি থেকে বাড়িতে আসেন। তাৎক্ষণিক তার হালকা ডায়রিয়া ও জ্বর দেখা দিলে আমি, আমার মা ও ভাবী তাকে নিয়ে উপজেলার বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালে যাই। ওই সময় ডিউটি ডাক্তার বেলায়েত হোসেন মাহমুদ তার শরীরে একটি ইনজেকশন পুশ করে। এতে আমার ভাইয়ের চোখ,মুখ লাল হয়ে শরীরে জ্বালা পোড়া শুরু হয় এবং প্রেশার একবারে কমে যায়। পরে তার অবস্থা বেগতিক দেখে রাত ৮টার দিকে বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে রেফার্ড করে দেয়। এরপর তাকে ফেনীর জেড ইউ হসপিটালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ঢাকার বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ইমন আরো জানান, ইনজেকশনের প্রেসক্রিপশন দেখে ভুল ইনজেকশনে আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আমরা অভিযুক্ত ডাক্তারের বিচার ও হাসপাতাল বন্ধের দাবি জানাই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের বক্ষব্যাধি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালের এমডি ডা. আ. ফ.ম আব্দুল হক অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, অভিযোগ যারা করেছে তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলে কিছুই বুঝবেনা। রোগীর বমি ছিল ও আগে থেকেই প্রেশার একেবারে ডাউন ছিল। তখন আমাদের ডিউটি ডাক্তার স্যালাইন, ইনজেকশন দিয়ে তাকে ভর্তি নেয়। পরবর্তীতে তিনি বলেন স্যার আসলে দেখবে।

তিনি আরো বলেন, পরে আমাকে রোগীর ভর্তির বিষয়টি জানানো হয়। আমি রোগী দেখতে গেলে দেখি রোগীর প্রেশার একেবারে ডাউন, নেই বললেই চলে, অস্থিরতা কাজ করছে। অনেক সময় ডেঙ্গুর শক থেকেও এমনটা হতে পারে। যা মাথায়ও ইফেক্ট করতে পারে। রোগীর মামাও লোকাল ডাক্তার। রাত ৮টার দিকে রোগী একটু প্রেশার বাড়ে এবং স্টেবল হলে রোগীর স্বজনেরা তাকে ফেনী নিয়ে যায়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, নিহতের স্বজনেরা প্রথমে বলেছিল ভুল চিকিৎসা। তবে নিহতের স্বজনেরা কোন আইনগত ব্যবস্থা নিবেনা।

Print Friendly, PDF & Email
 
 
জনতার আওয়াজ/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ