মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেরিতে, পরবর্তী বর্ষে উন্নিত হননি অনেকে – জনতার আওয়াজ
  • আজ সকাল ৯:৫৭, শুক্রবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • jonotarawaz24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেরিতে, পরবর্তী বর্ষে উন্নিত হননি অনেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ: রবিবার, আগস্ট ২৭, ২০২৩ ৫:০০ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: রবিবার, আগস্ট ২৭, ২০২৩ ৫:০০ অপরাহ্ণ

 

নিউজ ডেস্ক
সব বিষয় পাস করে কিংবা মাত্র এক বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়ায় পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হতে পারছেন না। তাই যে বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে সেই বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে কৃতকার্য হওয়ার ব্যবস্থা করার দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরুদ্ধ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সাত কলেজের শিক্ষার বৈষম্য বন্ধের দাবি শিক্ষার্থীদের।

রবিবার (২৭ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে মিছিল নিয়ে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেয় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

তারা বলেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে যে নিয়ম আছে তা সাত কলেজের জন্য বহাল রাখার মাধ্যমে বৈষম্য কমানোর দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। সেই সাথে সিজিপির শর্ত ২ দশমিক ৫ এর কম হলে পরীক্ষায় বসতে না দেয়ার নিয়ম বাতিলের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি দীর্ঘ সেশনজটের কারণে ক্যারিয়ার ধ্বংস হবার আশংকায় অনেকে আত্মহননের পথে ঝুকছেন।

বদরুন্নেসা সরকারি কলেজের ২০১৮-২০১৯ বর্ষের অর্থনীতির তৃতীয় বর্ষের কামরুন নাহার। ৮ বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন। এর মধ্যে সাতটি পরীক্ষায় পাস করেন। কিন্তু একটি বিষয়ে ফেল করায় চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। এক বর্ষ থেকে পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হতে ২.৫০ পয়েন্ট লাগে। কিন্তু উন্নয়ন অর্থনীতি নামের এক বিষয় ফেল করায় মাত্র ০.০১ পয়েন্টের এর জন্য পরীক্ষায় বসতে পারেন নি।

একই কলেজের অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের তানজিনা আফরিন। সব বিষয় পাস করেছেন। পেয়েছেন ২.৮৮ পেয়েছেন। কিন্তু তিন বছরে সকল বিষয় পাস থাকার পরেও সামান্য (০.০৪) সিজিপিএ কম থাকায় চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষায় বসতে পারছেন না।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রতিটি পরীক্ষার পরে রেজাল্ট দিতে ৬ মাস থেকে ৯ মাস সময় নেওয়া হয়েছে। অথচ ১৫ দিন থেকে মাত্র ১ মাস আগে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়। এই সামান্য কিছু কিছু পয়েন্টের জন্য আবারও সব বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে।

ইডেন মহিলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এশা আক্তার। ৮ বিষয় পরীক্ষা দিয়েছেন। তিনিও দাবি আদায়ে এসেছেন। প্রতিবছর দু একটা বিষয়ে গণহারে ফেল করায়৷ এখন আবার এর মধ্যে রেজিষ্ট্রেশন চলছে। কিন্তু এরই মধ্যে আবার পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে৷ আমাদের বলা হচ্ছে পরীক্ষা দিতে৷ কিন্তু পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করার পরে আমাদের মান উন্নয়ন পরীক্ষা তাহলে কবে নিবে। আমাদের সঙ্গে যা হচ্ছে তা কখনো ঢাবিতে ঘটেনি। তাহলে আমাদের সঙ্গে এমন হওয়ার কারণ বুঝতেছি না।

Print Friendly, PDF & Email
 
 
জনতার আওয়াজ/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ