মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ফেরিওয়ালা দাবিদার সরকার দেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছে: ড. মঈন
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শনিবার, মার্চ ১৮, ২০২৩ ১১:৩২ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শনিবার, মার্চ ১৮, ২০২৩ ১১:৩২ অপরাহ্ণ

দেশে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট হলে আওয়ামী লীগ ১০ শতাংশ ভোট পাবেন না উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন সরকার সারাক্ষণ উন্নয়নের কথা বলে অথচ জনগণের ভোটকে ভয় পায়। জনগনকে ভয় পায় বলেই দিনের ভোট রাতে করেছে।
শনিবার (১৮ মার্চ) বিকাল ৩টায় কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে ‘আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদ ও ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে খুলনা মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছিলো গণতন্ত্রের জন্য কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছরে এসে দেশের মানুষ আবারো গনতন্ত্রের জন্য রাজপথে নেমেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ফেরিওয়ালা দাবিদার সরকার দেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছে। দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে শত শত কোটি টাকা লুট করে নিজেদের পকেট ভারী করেছে। মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে মেগা দুর্নীতি করছে। দ্রব্যমুল্যের কষাঘাতে দেশের মানুষ আজ রক্তাক্ত। বিদ্যুৎ, গ্যাস, তেলসহ সবকিছুর মূল্য বাড়লেও সাধারণ মানুষের জীবনের মুল্য কমেছে। গত ৪ মাসে ১৭ জন বিএনপির নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে সরকার।’
মি. খান আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ কথা বলার অধিকার চায়, ভোটের অধিকার চায়। রাষ্ট্র তিনটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। এক স্তম্ভের ওপর অন্য স্তম্ভ হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। কিন্তু বর্তমান বিনাভোটের সরকার সকল বিভাগকে কুক্ষিগত করে রেখেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসলে নাকি সংবিধান লঙ্ঘন করা হবে। ভোটের অধিকার কেড়ে নিলে, সুপ্রীম কোর্ট দখলে নিলে কি সংবিধান লঙ্ঘন হয় না? ৯৬ সালে কেন তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। মানুষের ভোটের জন্য, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আন্দোলন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
সরকারের সৎ সাহস নেই উল্লেখ করে সাবেক মন্ত্রী আরও বলেন, ‘যদি সৎ সাহস থাকতো তাহলে জনগণের ভোটকে ভয় পেতো না। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশে গনতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর উত্তোরসুরি বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচারের দখল থেকে দেশকে মুক্ত করে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিয়েছেন। আগামী দিনের কান্ডারী তারেক রহমানের যোগ্য নেতৃত্বে দেশের হারানো গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে। আসুন আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদ জিয়াকে মুক্ত করে জনগণের কাতারে নিয়ে আসি। রাজনীতি করলে যে শুধু ক্ষমতায় যেতে হবে এই নীতিতে আমরা বিশ্বাসী করিনা; কিন্তু যারা বিনা নির্বাচনে, বিনা ভোটে রাতের অন্ধকারে ক্ষমতা দখল করেছে তাদের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নাই। ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যোগ্য নেতৃত্বে দেশের মানুষের হাতে বহুদলীয় গণতন্ত্র তুলে দিতে হবে।’
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির বিভিাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, কেন্দ্রীয় সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাশ অপু, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ সভাপতি তরিকুল ইসলাম বনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান। মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পি, আবু হোসেন বাবু, খান জলফিকার আলী জুলু, স. ম. আব্দুর রহমান, সৈয়দা রেহানা ইসা, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, মোস্তফা উল বারী লাভলু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, শেখ তৈয়েবুর রহমান, চৌধুরি শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, আশরাফুল আলম খান নান্নু, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, হাসানুর রশীদ মিরাজ, এনামুল হক সজল, ডা. গাজী আব্দুল হক, শেখ জাহিদুল ইসলাম, চৌধুরী কাওসার আলী, আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান মনি, আশফাকুর রহমান কাকন, খায়রুল ইসলাম জনি, ওয়াহিদ হালিম ইমরান, বেগ তানভীরুল আজম, সাহিনুল ইসলাম পাখি, রুবায়েত হোসেন বাবু, মুরশিদ কামাল, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, ইলিয়াছ হোসেন মল্লিক, কে এম হুমায়ুন কবির, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, সাজ্জাদ হোসেন পরাগ, মো. হাফিজুর রহমান, কাজী মিজানুর রহমান, একরামুল কবির মিল্টন, জহর মীর, এস এম মুর্শিদুর রহমান লিটন, নাজির উদ্দিন নান্নু, শেখ ইমাম হোসেন, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, অ্যাড. মোহাম্মদ আলী বাবু, খন্দকার ফারুক হোসেন, শেখ জামাল উদ্দিন, সরোয়ার হোসেন, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, রফিকুল ইসলাম বাবু, আনসার আলী, আব্দুস সালাম, নাজমুল হুদা চৌধুরি সাগর, তারিকুল ইসলাম, সুলতান মাহমুদ, খন্দকার শাহিনুল ইসলাম নিক, শাহাদাত হোসেন ডাবলু, জাহিদুল হোসেন জাহিদ, মিজানুর রহমান মিলটন, মুজিবুর রহমান, শফিকুল ইসলাম শফি, আলী আক্কাস, জাফরি নেওয়াজ চন্দন, ফারুক হোসেন, শামসুল বারী পান্না, আজিজা খানম এলিজা, সরদার শফিকুল আমিন লাভলু, এমদাদ হোসেন, আব্দুল ওহাব, মো. নুরুল হক, আসাদুজ্জামান আসাদ, জাভেদ মল্লিক, মশিউর রহমান লিটন, যুবদলের এবাদুল হক রুবায়েত, নেহিবুল হাসান নেহিম, ছাত্রদলের ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রী, তাজিম বিশ্বাস, গোলাম মোস্তফা তুহিন, তাতীদলের আবু সাঈদ শেখ, কৃষকদলের আক্তারুজ্জামান তালুকদতার সজিব, মোল্লা কবির হোসেন, শেখ আবু সাঈদ, মহিলা দলের এড. তসলিমা খাতুন ছন্দা, অ্যাড. কানিজ ফাতেমা আমিন, আনজিরা খাতুন প্রমুখ।
জনতার আওয়াজ/আ আ
