মুনিয়ার ভুল স্বীকার করে হত্যার বিচার চাইলেন বোন - জনতার আওয়াজ
  • আজ বিকাল ৩:০৮, সোমবার, ১২ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৪ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
  • jonotarawaz24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

মুনিয়ার ভুল স্বীকার করে হত্যার বিচার চাইলেন বোন

নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ: মঙ্গলবার, আগস্ট ২০, ২০২৪ ২:০৪ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: মঙ্গলবার, আগস্ট ২০, ২০২৪ ২:০৪ অপরাহ্ণ

 

জনতার আওয়াজ ডেস্ক
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কলেজ শিক্ষার্থী মোসারাত জাহান মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান তানিয়া বলেছেন, আমার বোনের ভুল ছিল এটা মানি কিন্তু সে অন্যায় করে নাই। তার হত্যার বিচার চাই।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ‘মুনিয়ার পরিবারের সদস্যবৃন্দ’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

নুসরাত জাহান তানিয়া সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আক্ষেপ করে বলেন, আপনাদের কি পরিবার নাই। মা বোন নাই। আমার বোন ভুল করেছে। তাকে যারা হত্যা করেছে তারা অন্যায় করেছে। আমি অন্যায় বিচার চাই।

পরে সাংবাদিকরা আরো প্রশ্ন করলে তিনি কোন উত্তর দেননি। পরে সাংবাদিকরা সংবাদ সম্মেলন ছেড়ে চলে যায় তারা সংবাদ সম্মেলন শেষ করে।

লিখিত নুসরাত জাহান তানিয়া বলেন, মুনিয়াকে মেরে ফেলার সংবাদ পাবার পর, আমি যখন গুলশান থানায় মামলা করতে গিয়েছিলাম, তখন থেকেই ভূমিদস্যু বসুন্ধরা পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকেই কিনে ফেলতে চেয়েছিলো এই হত্যা ও ধর্ষণ মামলার ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার উদ্দেশ্যে। তৎকালীন আইজিপি বেনজির এবং গুলশান থানার ওসি সুদীপ কুমার, আনভীরকে বাঁচিয়ে দেয়ার জন্য, নির্লজ্জ ভূমিকা রেখেছিলো। পরবর্তীতে গুলশান থানা আনভীরকে অব্যাহতি দিয়েই তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।

তিনি বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে ও আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে আমি আমার বোনের হত্যার বিচার দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও ন্যায়বিচার পাইনি। আমি জানতে পারি, তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তার বান্ধবী তৌফিকা করিমকে দিয়ে, মোটা অংকের টাকা আনভীরের থেকে ঘুষ নিয়ে, মামলা প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। আমি এসব ব্যাপারে পতিত স্বৈরাচার, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য, একাধিকবার আবেদন করি, এবং প্রায় ২৬ পৃষ্ঠার একটি চিঠি লিখে, তার দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করি। কিন্তু তিনি আমার সাথে সাক্ষাৎ দেননি। আমরা দেখেছি ছাত্র গণহত্যার সময়েও তিনি ভবন এবং অবকাঠামোর ক্ষতি দেখতে যান, অথচ ছাত্রদের দেখতে যাওয়ার সময় তার হয়ে উঠে না। একইভাবে তিনি খুনি আনভীর ও শাহ আলমের সাথে ঠিকই দেখা করেছেন। আপনারা নিশ্চয়ই আনভীরের ফেসবুকে মাসখানেক আগে শেখ হাসিনার সাথে তাদের সাক্ষাতের কিছু ছবিও দেখেছেন। অথচ আমার সাথে একটিবার সাক্ষাতের সময় হয়ে উঠেনি শেখ হাসিনার।

আমি বিশ্বাস করি শেখ হাসিনার প্রশ্রয় না পেলে, আনভীররা এতটা বেপরোয়া হয়ে ওঠার সাহস পেতো না। পিবিআইতে যখন আমার মামলাটি গেলো, সেখানেও অর্থ ঢেলে, তৎকালীন পিবিআই প্রধান বনজ কুমারকে ঘুষ দিয়ে, তাদের থেকেও একটি একপেশে তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে আসে বসুন্ধরা গ্রুপ। ওই রিপোর্টেও আনভীরসহ সকলকে অব্যাহতি দেয়া হয়। আমি নারাজি জানানোর পর সেটাও আদালতে খারিজ হয়ে যায়।

সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো মুনিয়া গর্ভবতী ছিল, পিবিআই তাদের তদন্তেও বলেছে সেটা ছিলো আনভীরেরই সন্তান। অথচ সেই আনভীরকে তারা উঙ্খত স্যাম্পল টেস্ট করতে বললো না। তারা মামলার অন্যান্য আসামি, যেমন সাইফা মিম ও পিয়াসাকে গ্রেফতার করলেও, আনভীরকে একটিবারের জন্যও জিজ্ঞাসাবাদ বা গ্রেফতার করে নি। অর্থাৎ, বিচারের নামে কিরকম তামাশা হয়েছে, সেটা নিশ্চই আপনারা বুঝতে পারছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মুনিয়া পরিবারের আত্মীয় মিজানুর রহমান, নাদের চৌধুরী মাহবুব হায়দায়, বিথী মজুমদার।

আইনজীবী প্যানেলে ছিলেন ব্যারিষ্টার এম সরওয়ার, এড. শাহ মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ূম, এড. মালিক চন্দ্র শর্মা।

Print Friendly, PDF & Email
 
 
জনতার আওয়াজ/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ