মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর দলের জন্য ত্যাগ স্বীকারের ‘পুরস্কার’ কী? - জনতার আওয়াজ
  • আজ রাত ৪:২২, সোমবার, ২৯শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৯ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
  • jonotarawaz24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর দলের জন্য ত্যাগ স্বীকারের ‘পুরস্কার’ কী?

নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ: সোমবার, মে ২২, ২০২৩ ২:২৭ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: সোমবার, মে ২২, ২০২৩ ২:২৮ অপরাহ্ণ

 

ডেস্ক নিউজ

দলের জন্য ত্যাগের জন্য ‘পুরস্কৃত’ হচ্ছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় তাঁকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান করা হতে পারে। এমন গুঞ্জন রয়েছে সিলেটের রাজনৈতিক মাঠে। আরিফ সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য সফরকালে বিষয়টি সামনে চলে আসে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাঁকে এ প্রস্তাব দিয়েছেন বলে কেউ কেউ দাবি করছেন। গত শনিবার তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর আবারও বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে।

আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশনে ভোট হবে। গতকাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলনসহ ১১ জন মেয়র পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

সিলেট বিএনপির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা এ ব্যাপারে সরাসরি মুখ না খুললেও আকারে-ইঙ্গিতে এমন বার্তাই দিচ্ছেন। তবে আরিফুল হক চৌধুরী বলছেন, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে। কোনো পদ-পদবির লোভে তিনি এ কাজ করেননি।

সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, রাজনীতি করলে পদ-পদবি মিলবে, এটা স্বাভাবিক। হয়তো আরিফুল হক কেন্দ্রীয় সদস্য থেকে পদোন্নতি পাবেন। তবে নির্বাচনের সঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যান হওয়া কিংবা পদোন্নতির কোনো সম্পর্ক নেই। দল চাইলে যে কাউকে পদ দিতে পারে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আরিফুল হক তপশিল ঘোষণার পরপরই যুক্তরাজ্যে গিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করেন। সেই থেকে তাঁর সিদ্ধান্ত জানতে নগরবাসী উন্মুখ ছিলেন। তেমনি প্রতীক্ষায় ছিলেন অন্য মেয়র প্রার্থীরাও। দেশে ফিরে তিনি সিটির ৪২টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মতামত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এ সময় তাঁকে নাগরিকরা নির্বাচন করার জন্যও চাপ দেন। শনিবার তিনি নগরবাসীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, জনগণ বলেছেন যে, তাঁদের যেন এতিম করা না হয়।

আরিফুল হকের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা নিয়ে গতকাল রোববারও নগরীর পাড়া-মহল্লা ও চায়ের দোকানে জোর আলোচনা হয়। কেউ বলেছেন দলের কারণে, আবার কেউ বলেছেন নানা ধরনের চাপ ও ভয়ের কারণে নির্বাচন করছেন না তিনি। আবেগঘন বক্তৃতায় আরিফ নিজে কেঁদে ফেলেন, লোকজনকেও কাঁদান।

ভোট ডাকাতির পরিকল্পনা, প্রহসনের নির্বাচন চূড়ান্ত করা, পুলিশ প্রশাসনের হয়রানি, নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন অভিযোগ করে তিনি নির্বাচন না করার ঘোষণা দেন। উপস্থিত লোকদেরও ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানান।

মহানগর বিএনপির সদ্য সাবেক সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী বলেন, আরিফুল হক নির্বাচন করছেন না দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে। নির্বাচন করলে তিনি জয়ী হতেন। কিন্তু দল তো নির্বাচনে যাচ্ছে না। দলের ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার বিষয়টি এখানে জড়িত নয়।

Print Friendly, PDF & Email
 
 
জনতার আওয়াজ/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com