যা করার অক্টোবরেই করতে চায় বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩ ৪:০২ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩ ৪:০২ অপরাহ্ণ

নিউজ ডেস্ক
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে গতকাল ১৮ সেপ্টেম্বর টানা ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। ঘোষিত এই কর্মসূচি নিয়ে দলটির মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও বিএনপির নীতি নির্ধারকরা বলছেন সরকারের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে বিএনপির কর্মসূচির ধরন পরিবর্তন হতে পারে। বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে চায় কিন্তু সরকার যদি কোন কারন ছাড়াই কর্মসূচিতে বাঁধা দেয়, হামলা করে তাহলে বিএনপিও সরকারকে আর একচুলও ছাড় দিবে না, প্রয়োজনে পরিস্থিতে বুঝে হরতাল, অবরোধ, ঘেরাও, অবস্থানের মতো কঠোর কর্মসূচি দিবে।
বিএনপির নীতিনির্ধারক পর্যায়ের এক নেতা ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘বিএনপির পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আন্দোলন ছাড়া আমরা কিছুই ভাবছি না। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন চাই, কিন্তু সরকার যদি সহিংসতা করতে চায় আমরাও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অক্টোবর মাসকে টার্গেট করেই বিএনপি আন্দোলনে নামছে। গতকালও আমরা ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।
অর্থ্যাৎ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে যা যা করার দরকার তাই করবে বিএনপি। কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমেই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘বর্তমান অবৈধ সরকারের অধীনে দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না। দেশের মানুষ প্রমাণ করেছে শেখ হাসিনার পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। বিনা ভোটের সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে দেশের ১৮ কোটি মানুষ। মানুষের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জাতিসংঘসহ পৃথিবীর প্রতিটি গণতান্ত্রিক দেশ। পৃথিবীর মোড়ল রাষ্ট্রগুলো বলেছে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষের ভোটাধিকার নেই।
তিনি বলেন, যদি শান্তিপূর্ণ পন্থায় সরকার পদত্যাগ না করে তাহলে তারা জনগণের উত্তাল তরঙ্গে ভেসে যাবে।
জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক ব্রেকিংনিউজকে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে কৌশলে দল পরিচালিত করছে, তার এ কৌশলে সত্যিকারের যদি বিএনপি এগিয়ে যেতে পারে তাহলে এবার জয়লাভ করবে জনগণ। তবে এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি।
তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান যে পদ্ধতি বা কৌশলে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই কৌশলের কাছে আওয়ামী লীগ হেরে যাবে। কারণ আওয়ামী লীগ বিগত আন্দোলনগুলোতে একটি কৌশল প্রয়োগ করত। নিজেরাই গান পাউডার দিয়ে মানুষ হত্যা করে, নিজেরাই বোমা মেরে, বাসে আগুন দিয়ে বিএনপির ঘাড়ে দোষ চাপাতো। সেই কৌশলকে আজকে পরাজিত করেছে আমাদের নেতা তারেক রহমান।
বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রোডমার্চ ও সমাবেশ সফলে পৃথক টিম গঠন করা হয়েছে। পাঁচটি রোডমার্চ ও রাজধানীসহ এর প্রবেশপথে সমাবেশ সফলে পৃথক টিম গঠন করেছে বিএনপি। প্রতিটি টিমে একজন প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা, দলনেতা, সদস্য ও সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ভৈরব থেকে সিলেট পর্যন্ত রোডমার্চ বাস্তবায়নে অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনকে প্রধান উপদেষ্টা ও হাবিব উন নবী সোহেলকে দলনেতা; বরিশাল থেকে পটুয়াখালী পর্যন্ত রোডমার্চ বাস্তবায়নে বেগম সেলিমা রহমান প্রধান উপদেষ্টা ও ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরসহ পাঁচ সিনিয়র নেতাকে উপদেষ্টা; খুলনা বিভাগের রোডমার্চ বাস্তবায়নে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে প্রধান উপদেষ্টা ও শামসুজ্জামান দুদুসহ তিন সিনিয়র নেতাকে উপদেষ্টা; ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জের রোডমার্চ বাস্তবায়নে নজরুল ইসলাম খানকে প্রধান উপদেষ্টা ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে দলনেতা; কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামের রোডমার্চে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে প্রধান উপদেষ্টা ও আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ চার সিনিয়র নেতাকে উপদেষ্টা করে টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া আট সমাবেশ সফল করতে মির্জা আব্বাসকে প্রধান উপদেষ্টা ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে উপদেষ্টা করে টিম গঠন করা হয়েছে।
জনতার আওয়াজ/আ আ
