যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের গণতন্ত্র দেখতে চাইলে দোষের কী : ড. মঈন খান
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, মে ১৬, ২০২৪ ১:১১ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, মে ১৬, ২০২৪ ১:১১ অপরাহ্ণ
জনতার আওয়াজ ডেস্ক
গণতান্ত্রিক একটি দেশ যদি অন্য কোনো দেশে গণতন্ত্র দেখতে চায়, তাহলে দোষের কী; বরং এটাই স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, ১৮ কোটি মানুষ বলছে, এ দেশে গণতন্ত্র থাকতে হবে। আমরাও তাই বলছি এবং তারা (পশ্চিমারা) সে কথাই বলছে।
যুক্তরাষ্ট্র পুঁজিবাদী অর্থনীতির দেশ হলেও একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রও বটে। বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে দেশটির অবস্থান আবারও ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে। কাজেই অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লুর এবারের সফর নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ নেই।
গতকাল বুধবার গুলশানের বাসায় সমকালকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ভারত, রাশিয়া ও চীন সম্পর্কেও খোলামেলা প্রশ্নের জবাব দেন ড. আব্দুল মঈন খান।
ভূরাজনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কৌশল গ্রহণে বিএনপির দক্ষতা নিয়ে অনেকের প্রশ্ন রয়েছে। আপনার বক্তব্য কী?
মঈন খান: বিএনপি যেহেতু জনগণকে বিবেচনায় নিয়ে রাজনীতি করে, সে কারণে পরাশক্তি ও ভূরাজনীতি সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিএনপির বহির্বিশ্ববিষয়ক কমিটিগুলোর কার্যক্রম নিয়েও প্রশ্ন থাকতে পারে। আমরা সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই কাজ করি।
যখন পরাশক্তিগুলো নিয়ে কথা বলি, তাদের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করি, তখন আমাদের মধ্যে যে মুখ্য বিষয়টি কাজ করে তা হলো দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও স্বার্থ সংরক্ষণ করা; ব্যক্তি কিংবা দলীয় স্বার্থে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দেওয়া নয়। সেই বিকিয়ে দেওয়ার নীতিতে আমরা কখনও সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা করব না। বিএনপির রাজনীতির আদর্শ হচ্ছে ব্যক্তির চেয়ে দল, দলের চেয়ে দেশ বড়। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আজকে সরকারে যারা আছেন, তারা দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে আপস করে পরাশক্তির সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা করে। অন্যদিকে আমরা দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই সম্পর্ক করি। সে কারণেই হয়তো প্রশ্ন উঠতে পারে।
বিএনপির পররাষ্ট্রনীতি কী? একসময়ে চীনের সঙ্গে বিএনপির অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক ছিল, এখন নেই কেন?
মঈন খান: বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিই বিএনপির পররাষ্ট্রনীতি। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়– আমরা এ বিষয়টি অনুসরণ করি। ২০ বছর আগের কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তাইওয়ানের সঙ্গে বাণিজ্যবিষয়ক একটি সমঝোতার কাজ বিএনপি সরকারের মাধ্যমে কেউ কেউ করার চেষ্টা করেছিল। পরে আমরা তা সঠিক বিবেচনায় নিয়ে এসেছিলাম। চীনের সরকার ও কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে মতবিনিময় হয়েছিল। সেখানে আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলাম, বাংলাদেশ স্বাধীনের পর চীনের সঙ্গে এ দেশের সম্পর্ক যে পুনঃস্থাপন হয়েছিল, সেটি করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। আমাদের ও চীনের পারস্পরিক আস্থায় সেই সম্পর্কের ভিত্তি সৃষ্টি হয়েছিল। সে আদর্শ ও নীতির সঙ্গে আমরা সব সময় একমত এবং আমরা এক চীন নীতিতে বিশ্বাসী। বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই চীনের ভূমিকা কী হয়, তা পর্যবেক্ষণ করলেই আমার উত্তর স্পষ্ট হয়ে যাবে।
ভারত ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে কোনো উদ্যোগ আছে কি?
মঈন খান: রাশিয়া যে একদলীয় শাসনে বিশ্বাস করে, বিএনপি সে নীতি বিশ্বাস করে না। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল। রাশিয়ার সঙ্গে এ সরকারের সখ্য তো হবেই। কারণ, রাশিয়ার যে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা, সেখানে বিরোধী দলকে কথা বলতে দেওয়া হয় না। এখানেও বিরোধী দলকে দমিয়ে রাখা হয়। আমাদের সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব সম্পর্ক বজায় রাখার নীতি হলেও রাশিয়ার যে রাষ্ট্রব্যবস্থা, তার সঙ্গে বিএনপি এক নয় বলেই হয়তো অনেকে মনে করে, রাশিয়ার সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
আর ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের কোনো বিরতি কিংবা অবনতি হয়েছে– সেটা তো আমি জানি না। ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’– ভারতের বেলায়ও এই নীতিতে আছি। গত ৭৫ বছরে ভারত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে, সেটার ছিটেফোঁটা বাংলাদেশ ৫৩ বছরেও পারেনি। কাজেই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যতদিন শক্ত থাকবে, সেখানে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিরাপদ থাকবে। ভারতে সরকার বদল হচ্ছে ভোটের মাধ্যমে। একপেশে চরমপন্থি চিন্তাধারা নিয়ে ভারতে ভোট চাইলে সে দেশের মানুষ ভোট দেয় কি দেয় না– তাও চলমান নির্বাচনের ভেতর দিয়ে স্পষ্ট হয়ে আসবে। আর মানুষের মনস্তাত্ত্বিক বিবেচনায় আজকের বাংলাদেশে যে ভারতবিদ্বেষ দেখা যাচ্ছে, সেটা কি আসলে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের প্রত্যাখ্যানেরই বহিঃপ্রকাশ কিনা, সেটিও বিবেচ্য বিষয়। তবে এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, দীর্ঘ মেয়াদে এ দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক নির্ভর করবে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে গণতন্ত্রের প্রতি ভারতের অঙ্গীকারের ওপর; কোনোভাবেই বিশ্ব অঙ্গনে পরাশক্তি হিসেবে তাদের ভূমিকার ওপরে নয়।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর ব্যাপক চাপ ছিল। নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে ওই সব দেশের ভূমিকা নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
মঈন খান: নির্বাচনের আগে পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর চাপ ছিল– বিষয়টি আমি সেভাবে বিবেচনা করছি না। তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্র দেখতে চায়– এটা কি কোনো অপরাধ? চাপ দেওয়ার বিষয়ে আমি একমত নই। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে গণতন্ত্রের স্বার্থে। কেউ যদি কোথাও গণতন্ত্রকে দেখতে চায়, তাকে চাপ হিসেবে দেখছেন কেন? পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলো যে কথাটি বলছে, এটাই তো স্বাভাবিক। বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাকবে, ১৮ কোটি মানুষ বলছে, আমরাও বলছি এবং তারাও বলছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তির মূল ভিত্তি ছিল গণতন্ত্র ও মানবাধিকার। বিগত সংসদ নির্বাচনকে অনেকে প্রশ্নবিদ্ধ বলার পরও তারা সরকারকে অভিনন্দন ও সমর্থন জানিয়েছে।
মঈন খান: ‘অভিনন্দন ও সমর্থন’ জানিয়েছে এ রকম শুনিনি; বরং তারা সবাই প্রকাশ্যে এ কথাই বলেছে, এ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। তা ছাড়া এখানে যারা দূতাবাসে কাজ করছেন, তাদের দায়িত্বের বিষয়ে তো সবার জানতে হবে। দুটি দেশের পারস্পরিক স্বার্থ, ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা কূটনৈতিক সম্পর্কই বলুন– যে বিষয়গুলো রয়েছে তাদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের ভেতরে, সে কাজগুলো দূতাবাসের কূটনৈতিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর তো করতেই হবে। নির্বাচন নিয়ে তো তারা প্রশ্ন তুলেছে এবং বিবৃতিও দিয়েছে। তার মানে এই নয়, তারা দ্বিপক্ষীয় কাজ বন্ধ করে দেবে। এ দেশে থাকলে তো সরকারের সঙ্গে কাজ করতে হবে। অন্যথায় এখানে তাদের দূতাবাস রাখারই তো যৌক্তিকতা থাকবে না। আর তারা যদি সত্যিই চাপ দিয়ে থাকে, তাহলে সরকারকে বুঝতে হবে, এভাবে একদলীয় শাসন কায়েম করে জনগণের মঙ্গল সম্ভব নয়। ভিন্ন মত প্রকাশের সুযোগ দিতে হবে আর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লুর এবারের বাংলাদেশ সফরকালে বিএনপির সঙ্গে কোনো বৈঠক হয়নি। আপনারা বা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কেউ কি বৈঠকের ব্যাপারে কোনো আগ্রহ দেখিয়েছেন?
মঈন খান: বিদেশি প্রতিনিধিরা যখন আসেন, বিভিন্ন সময় নানাভাবে কাজ করেন। অনেক সময় সরকারের সঙ্গে কথা বলেন। অনেক সময় বিরোধী দলের সঙ্গে কথা বলেন। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে কথা বলেন। এবার তাদের যে কর্মসূচি, সেটি হয়তো বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেই নির্ধারণ করেছেন। তাদের কার্যক্রমগুলো যখন শেষ করবে, তখন তারা সাধারণত যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে জানান– কী নির্দিষ্ট এজেন্ডা নিয়ে কথা বলেছেন।
নাগরিক সমাজের সঙ্গে মতবিনিময়ে ডোনাল্ড লু দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ না করা ও নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আবারও হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর সফর নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
মঈন খান: ডোনাল্ড লু তাঁর আলোচনায় এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র উত্তরণের যে সংগ্রাম, সে গণতন্ত্রের নীতিতে তারা অবিচল। নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশের জনমনে কিছুটা হলেও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল। তা অস্বীকার না করেও এটা বলা বোধ হয় অতিশয়োক্তি হবে না যে, ডোনাল্ড লুর এ সফর বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের সদিচ্ছার ওপর এ দেশের কোটি কোটি মানুষের আস্থা কিছুটা হলেও ফিরিয়ে আনবে। মূল কথা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন তথা প্যালেস্টাইন, গাজা, মধ্যপ্রাচ্য, ইউক্রেন, ইরান, চীনসহ সার্বিক বিশ্ব পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটেই তাদের আগামী বাংলাদেশ নীতি প্রণীত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
অনেকে মনে করেন, ডোনাল্ড লু এ সফরে ব্যবসায়, বিনিয়োগ ও নিরাপত্তাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
মঈন খান: প্রশ্নটি যুক্তিযুক্ত। এ ধরনের পর্যবেক্ষণ হয়তো তৃণমূল মানুষেরও হতে পারে। ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থবিত্ত– এগুলো আমেরিকানরা কাগজে-কলমে এবং মুখেও স্বীকার করে, তারা পুঁজিবাদী রাষ্ট্র। ফলে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যবসা-বাণিজ্যই সব সময় মুখ্য বিষয় থাকবে। যুক্তরাষ্ট্র পুঁজিবাদী অর্থনীতির দেশ হলেও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রও বটে। কাজেই গণতান্ত্রিক দেশ হওয়ার কারণেই তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র দেখতে চায়। কারণ, তারা গণতান্ত্রিক নীতিমালায় বিশ্বাসী। তারা গণতন্ত্রের কথা অতীতেও বলেছে, ভবিষ্যতেও বলবে। হতে পারে, তাদের পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়গুলো রয়েছে, সেখানে কিছুটা ওঠানামা করবে। বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে এখানকার ইস্যু গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখন অন্য ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অন্য ইস্যুগুলো হয়তো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছে। আমি স্পষ্ট বলতে পারি, গণতন্ত্রের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অবিচল আস্থা রয়েছে। এ বিষয়ে তারা অটল আছে, অটল থাকবে। আমাদের ৭ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পরও তারা প্রকাশ্যে গণতন্ত্রের কথা বলছে। তারা কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গণতন্ত্রের কথা বলে। সেটাও আমরা অনেক সময় ভুলে যাই। এবারের সফরেও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠকেও তা প্রকাশ পেয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, লুর সফরে বিএনপির খুশি হওয়ার কিছু নেই। তাদের চাঙ্গা করার মতো পরিস্থিতিও নেই। যারা দাপট দেখাবে, তাদের ক্ষমতা মধ্যপ্রাচ্যেই সংকুচিত হয়ে আছে। আপনি কী বলেন?
মঈন খান: আমি কোনো ব্যক্তিকে নিয়ে বক্তব্য দিই না। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা রুটিন সফরে এসেছেন। তিনি আসছেন নিজ দেশের পক্ষ থেকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা পালনের জন্য। এখানে বিএনপির চাঙ্গা হওয়ার বিষয় কেন আসছে?
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের আসন্ন নির্বাচনের পর বাংলাদেশ ইস্যুতে প্রভাবশালী দেশ দুটির কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন কোনো মেরূকরণ হতে পারে?
মঈন খান: বিদ্যমান যে পরিস্থিতি রয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্র বলুন আর বন্ধুরাষ্ট্র ভারত বলুন– আওয়ামী লীগ বা বিএনপির সঙ্গে সম্পর্কের কথা ইঙ্গিত করলে তাতে এ মুহূর্তে কোনো নতুন মেরূকরণের সম্ভাবনা প্রতীয়মান হয় না।
সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মঈন খান: ধন্যবাদ।
সূত্রঃ সমকাল