শরীয়তপুর প্রতিনিধি
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে শরীয়তপুরে আওয়ামীলীগ নেতাদের দলে ভিড়ানোর অভিযোগ শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সেক্রেটারী সরদার একেএম নাসির উদ্দিন কালু’র বিরুদ্ধে । এতে কওে দলীয় নেতাকর্মীদেও মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে,গত ২৭ আগষ্ট মঙ্গলবার বিকালে ৪টায় নাওডোবা জমাদ্দার বাড়ীতে আওয়ামীলীগের নেতা মরহুম নাসির উদ্দীন জমাদ্দারের ছেলে জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি নাজমুল জমাদ্দারের (বাড়ির উঠানে) বিএনপির এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জাজিরা উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা নাওডোবা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আঃ জলিল গোমস্তার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য সরদার নাসির উদ্দীন কালু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি সদও উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিরাজুল হক মোল্লা,বিএনপি নেতা আবদুস সালাম শাহ,সদও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট নজরুল মৃধা, জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাজিরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি বজলুর রশিদ শিকদার, সাধারণ সম্পাদক, মাষ্টার আবদুল করিম আক্কাস, সহ সভাপতি সুরুজ মাদবর, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল আলম টিটু আকন ,জাজিরা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক মাজাহারুল ইসলাম (রনি মুন্নী), নাওডোবা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী আলমগীর সরদার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উক্ত সমাবেশ আরো উপস্থিত ছিলেন জাজিরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিন শিকদার, উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর পক্ষে প্রচার প্রচারণা চালানো মিলন আওয়ামীলীগ নেতা হাকিম হাওলাদার, সামাদ হাওলাদার,ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্নসম্পাদক বকুল চোকদারের পিতা আওয়ামীলীগ নেতা আবদুর রশিদ চোকদার সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ । এ ঘটনার প্রেক্ষিতে দলীয় বিএনপি নেতা কর্মীদের মধ্যে হতাশার ও চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া ও গত ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শরীয়তপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা শুন্য থেকে কোটিপতি বনে যাওয়া ব্যক্তি ,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক, যুগ্নসম্পাদক, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, আওয়ামীলগি নেতা, সদও উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক সহ অনেক কে ব্যক্তি স্বার্থের জন্য সেল্টার দেয়ার ও অভিযোগ ওঠেছে। এ সকল আওয়ামীলীগের নেতাতোদের নিজের গাড়িতে করে শহরে ঘুরছে। জেলার বিভিন্ন দপ্তরে বিএনপির লোক বলে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। তাদেরকে সরকার পরিবর্তনের পর বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থা,মহিলা সংস্থা ,আইন শৃংখলা সহ বিভিন্ন কমিটিতে অর্ন্তভুক্তির জন্য নাম দাখিলের অভিযোগ রয়েছে।

বিশেষ করে সদ্য বিলুপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান উজ্জল আকন্দ এর পক্ষে ১১টি ইউনিয়ন ও শরীয়তপুর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে দিনরাত প্রচার প্রচারনা করে জিতিয়ে দেয়ার সুনিদিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তিনি জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব থাকা কালীন সময়ে কোন কর্মসুচীতে অংশ না নিয়ে তার জামাতা সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার প্রোমোশনের অজুহাতে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় দীর্ঘদিন নিজেকে লুকিয়ে রাখেন। গত ২৮ অক্টোবরের পরে দীর্ঘ ৭/৮ মাস সে তার মোবাইল বন্ধ করে জামাইদের বাসায় ঢাকায় বগুড়া এলাকায় অবস্থান করেছেন।দলীয় লোকজন তাকে ফোন করলে বলতো আমাকে ডিস্টাব করবে না। ১জুলাই থেকে ৫ আগষ্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনে সে কখনোই এলাকায় ছিলেন না। দীর্ঘ ১৭ বছরে দল করার দায়ে একটা মামলাতো দুরের কথা তার নামে একটা জিডি ও আওয়ামীলীগ দায়ের করেনি। অথচ ৫ আগষ্টের পর এলাকায় এসে ডিসি এসপির সাথে নানা কর্মকান্ডে নিজেকে দলীয় অভিভাবক বনে আওয়ামীলীগের দোসরদের প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব পালন করছে বলে দলীয় ত্যাগী নেতা কর্মীরা অভিযোগ করছেন।
দলীয় নেতাকর্মীদেও দাবী এখনি তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃংখল ভঙ্গেও দায়ে ব্যবস্থা নেয়া জরুরী।