শরীয়তপুরে রোহিঙ্গা সন্দেহে এক নারীকে গ্রেফতার করে কোর্টে সোপর্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩ ৪:২০ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩ ৪:২০ অপরাহ্ণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করাতে এসে রোহিঙ্গা সন্দেহে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। তার নাম আছিয়া বিবি (২৮) । পাসপোর্ট অফিসের প্রবেশ পথে আনসার সদস্যের প্রশ্নের মুখে ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাংলায় কথা বলেছিলেন । বিষয়টি সন্দেহ হলে তিনি অফিস প্রধানকে জানান। পরে ওই নারীকে দেওয়া হয় পুলিশের হেফাজতে। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এমনই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আটককৃত নারী সহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট অফিসের অফিস সহকারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।মামলার তদন্ত চলছে।নারীকে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে।
পাসপোর্ট অফিস ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেলে আছিয়া নামের এক নারী পাসপোর্ট করার জন্য একটি আবেদন ফরম নিয়ে শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এসময় প্রধান ফটকে দায়িত্বরত আনসার সদস্য সেলিম শেখ তার নাম-পরিচয় জিজ্ঞেস করলে তিনি সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছিলেন না। এতে সন্দেহ হয় সেলিম শেখের। তিনি পাসপোর্ট অফিসের বায়ো রুমে দায়িত্বরত কর্মকর্তা আতিকুর রহমানকে বিষয়টি জানান। তিনিও ওই নারীর সঙ্গে কথা বললে ভাষার গড়মিল দেখতে পান।বিষয়টি আতিকুর রহমানের সন্দেহ হলে তিনি তাকে নিয়ে সহকারী পরিচালক নাজমুল ইসলামের কাছে নিয়ে যান। পরে নাজমুল ইসলাম পুলিশকে খবর দিলে ওই নারীকে আটক করে নিয়ে যায়। পরদিন সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। পুলিশের কাছে ওই নারী নিজেকে আছিয়া বিবি নামে পরিচয় দিয়েছেন। তার বাবা আলী জোহার, মা আম্বিয়া খাতুন। তার বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফে।
শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক নাজমুল ইসলাম বলেন, ঐ নারী শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার একটি ঠিকানা ব্যবহার করে আবেদনপত্র নিয়ে এসেছেন। তার জন্মনিবন্ধনটি মৌলভীবাজার থেকে নিবন্ধিত। তাকে প্রশ্ন করা হলে উর্দু ও বাংলা মিশ্রিত ভাষায় কথা বলছিলেন। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় পাসপোর্ট অফিসের অফিস সহকারী সোহেল রানা বাদী হয়ে ঐ নারী সহ আরো ৩/৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। রোহিঙ্গা সন্দেহে এক নারীকে থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি পুরোপুরি বাংলায় কথা বলতে পারেন না। তাকে লিখতে দেওয়া হলে উর্দুতে কিছু কথা লিখে দিয়েছেন। আমরা ওই লেখার সূত্র ধরে বিষয়টি তদন্ত করছি।আসামীকে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে।