শুধু সুষ্ঠু নির্বাচন নয়, সুষ্ঠু শাসন ব্যবস্থা চাই : জিএম কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
সোমবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪ ৮:৪৯ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
সোমবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪ ৮:৪৯ অপরাহ্ণ
জনতার আওয়াজ ডেস্ক
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ১৯৯৬-২০০৮ সালে ভালো নির্বাচন হলেও দেশ ভালো সরকার পায়নি। বিগত সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পর আমরা কখনো সঠিক রাজনীতি পাইনি। আমাদের সংবিধান এক ব্যক্তির হাতে সব ক্ষমতা দিয়েছে। এই সংবিধানের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনে যাকেই ক্ষমতায় বসাবেন, তিনিই ক্ষমতার জোরে দানব হতে বাধ্য। তাই শুধু সুষ্ঠু নির্বাচন নয়, সুষ্ঠু শাসন ব্যবস্থা চাই। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দলের চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় যুব সংহতির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচনের আগে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ চাই এমন দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, দুটি দলই দলীয়করণের মাধ্যমে সব প্রতিষ্ঠান কুক্ষিগত করেছিল। আমরা কখনো প্রশাসন ও বিচারবিভাগ দলীয়করণমুক্ত পেয়েছি? এক দলীয়করণ থেকে আরেক দলীয়করণ চাই না। সংবিধান সংশোধন করে গণমুখী এবং জবাবদিহিতামূলক সরকার ব্যবস্থা করতে হবে এমন দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে আমরা স্থানীয় সরকারের নির্বাচন চাই। তবেই আমরা বুঝতে পারব নির্বাচন বিষয়ে কতটা সংস্কার হলো, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না। যারাই ক্ষমতায় আসুক তারা যেন দানব না হতে পারে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। ব্যক্তিগতভাবেও আমরা তাদের বিশ্বাস করি।
তিনি আরও বলেন, দেশ যখন স্বৈরাচার মুক্ত হলো, তখন একটি শ্রেণি আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে। অপপ্রচারে বলা হচ্ছে, আমরা ২০২৪ সালের নির্বাচনে গিয়েছি তাই নাকি আওয়ামী লীগ দানবে পরিণত হয়েছে। প্রকৃত কথা হলো, আওয়ামী লীগ দানবীয় শক্তি দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজনীতি করতে দেয়নি। বিএনপিকে জেল-জুলুম করে ঘরছাড়া করেছিল। জামায়াতকে তো রাজনীতির মাঠে দাঁড়াতেই দেয়নি। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি এইচএম শাহরিয়ার আসিফের সভাপতিত্বে এবং জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীনের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল ইসলাম জহির, আতিকুর রহমান আতিক, শেরীফা কাদের, মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. আরিফুর রহমান খান, মো. খলিলুর রহমান খলিল, শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি, অলিউল্ল্যাহ মাসুদ চৌধুরী, এমএ হান্নান, এমএ রাজ্জাক খান, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন।