শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা গার্মেন্টস সেক্টরে ষড়যন্ত্র করছে: ফারুক
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বুধবার, অক্টোবর ২, ২০২৪ ৪:২২ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বুধবার, অক্টোবর ২, ২০২৪ ৪:২২ অপরাহ্ণ
জনতার আওয়াজ ডেস্ক
পলাতক শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা গার্মেন্টস সেক্টরে অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সহচররা,তার অনুগতরা এখনো বাংলাদেশে আপনার সরকারকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করছে।এই সালাম মুর্শেদীরা বাংলাদেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।এই সালাম মুর্শেদীর প্রেতাত্মারা এখনো গাজীপুরে অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে গার্মেন্টস সেক্টরে।’
বুধবার(২ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দলের উদ্যোগে সারাদেশের প্রশাসনে গাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘এখনো আশুলিয়ায় কেন অশান্তি?এখনো কেন কোনাবাড়িতে গার্মেন্টস বন্ধ? এখনো কেন গাজীপুরে গার্মেন্টস বন্ধ? সেখানে হাসিনার প্রেতাত্মারা এখনো আছে।আজকে পত্রিকায় দেখলাম একজন বিজিএমইর সাবেক সভাপতি বিবৃতি দিয়েছে এই সভাপতির আমলে বাংলাদেশের গার্মেন্টস কে ধ্বংস করা হয়েছে এই ব্যক্তিটি বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টরকে হিন্দুস্তানে নিয়ে যাওয়ার পায়তারা করেছিল।গার্মেন্টস সেক্টর ধ্বংসকারী কুখ্যাত আব্দুস সালাম মুর্শিদিকে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।আরো যারা প্রেতাত্মা আছে তাদের কেউ গ্রেফতার করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টাকে একটি উক্তি স্মরণ করে দিতে চাই শেখ হাসিনা ভারত থেকে বলেছেন আমি সীমান্তের কাছাকাছি আছি চট করে যে কোন সময় ঢুকে যাব আপনি পৃথিবীর বুকে স্বনামধন্য ব্যক্তি আপনাকে কিন্তু এই শেখ হাসিনা বলেছিলেন পদ্মা সেতু থেকে টুস করে ফেলে দিবে সেই মহিলা শেখ হাসিনা এখন বাংলাদেশে নাই জুলুমবাজ সরকারের প্রধানমন্ত্রী এখন পলাতক।তাকে অনতিবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আপনার(অন্তর্বর্তীকালীন)সরকারের কাছে চায় যারা মুগ্ধকে গুলি করে হত্যা করেছে তারা তো আজও বাংলাদেশের আনাছে কানাচে প্রশাসনে ঘাপটি মেরে বসে আছে।তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।আজকে সাঈদের কবরের পাশে ফুল গাছ অনেক বড় হয়েছে আমরা তাকে কিছুই দিতে পারবো না কিন্তু যুগ যুগ ধরে আমরা তাকে স্মরণ করবো।’
জয়নুল আবদিন ফারুক অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে যে সকল ওসিরা নিপীড়ন নির্যাতন করেছে এমন ওসিদের কেউ এখনো বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় দেখা যাচ্ছে।এদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।’
শেখ মুজিব কখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাইনি মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা স্বাধীনতার স্বপক্ষের লোক আমি বিশ্বাস করিনা।যদি তার বাবা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোক হতো তাহলে এক মিনিটে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করে নিজের দল আওয়ামী লীগকে জবাই করে বাকশাল তৈরি করত না।সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দিত না একদল গঠন করত না।তাই তার বাবা কোনদিনও কোশ্চিন কালেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাইনি।উনি চেয়েছিলেন ইয়াহিয়া,ভুট্টোর সাথে আলোচনা করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে।’
ফারুক বলেন, ‘আমরা আপনার সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা পতনের পরে আমাদের নেতা তারেক রহমানের শব্দচয়ন দেখেন তার বক্তব্য গুলো দেখেন,তার কথাগুলো শোনেন তার সাংগঠনিক নির্দেশ গুলো দেখেন। তার এ সকল কর্মকান্ডে এটাই প্রমাণ হয় বাংলাদেশে শহীদ জিয়ার জ্যেষ্ঠ সন্তান তারেক রহমানই পারবে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে অটুট রাখতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষা করতে।তারেক রহমানের মামলা এখনো কেন প্রত্যাহার করা হচ্ছে না?বাংলাদেশের মানুষ চায় তারেক রহমান দেশে আসুক তারেক রহমান কথা বলুক।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকআলতাব হোসেনের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ,মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক,মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার,বিএনপি নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট,ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।