সন্তানদেরকে যথাযথভাবে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে হবে: সাকি - জনতার আওয়াজ
  • আজ সন্ধ্যা ৭:০৭, শনিবার, ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
  • jonotarawaz24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

সন্তানদেরকে যথাযথভাবে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে হবে: সাকি

নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ: রবিবার, জানুয়ারি ১৯, ২০২৫ ৩:০৭ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: রবিবার, জানুয়ারি ১৯, ২০২৫ ৩:০৭ অপরাহ্ণ

 

জনতার আওয়াজ ডেস্ক

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আমাদের সন্তানদেরকে যদি যথাযথভাবে গড়ে তুলতে চাই তাহলে শিক্ষকদেরকে সম্মান দিতে হবে। তাদের সব দাবি মেনে নিতে হবে।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী শিক্ষক ঐক্যজোট, আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক ‘বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক রেজিষ্ট্রেশনপ্রাপ্ত বৈষম্যের শিকার সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় জাতীয়করণের দাবিতে’ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

সাকি বলেন, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের ভবিষ্যৎ কারিগর হয়ে উঠবে। তাদেরকে যদি আমরা যথার্থভাবে গড়ে তুলয়ে চাই তাহলে যারা তাদেরকে গড়ে তুলবে, সেই শিক্ষকরা; তাদেরকে মর্যাদা দিতে হবে। তাদের সমস্ত দাবিদাওয়া পূরণ করতে হবে। তাদের জীবনকে একটা মানবেতর জায়গায় রেখে এই জনগোষ্ঠী এই জাতি উপরে উঠবে তা আশা করা যায় না।

তিনি বলেন, আমরা দেখছি বাংলাদেশের শিক্ষকরা একটা মানবেতর জায়গায় আছেন। বিশেষ করে প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিভিন্ন জায়গায়। কেউ বদলি হতে পারছেন না, কেউ বেতন পাচ্ছেন না, কেউ তাদের মর্যাদা পাচ্ছেন না। কাজেই আমরা এই সমস্ত প্রশ্নগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই অভ্যূত্থানের উপর দাঁড়িয়ে থাকা সরকার যাতে বাস্তবায়ন করে সেই দাবি জানাই।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকগণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ন্যায় সরকারি বিধি নিয়ম অনুসরণ করে ৪০ বছর বিনা বেতনে শিক্ষকতার পেশায় দায়িত্ব পালন করে আসছি। কিন্তু আমাদের কোন বেতন-ভাতা না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করতেছি। ১৯৯৪ সালে একই পরিপত্রে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদের ৫০০ টাকা সরকারিভাবে অনুদান দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। কিন্তু ১ হাজার ৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের বর্তমানে সহকারী শিক্ষকদের বেতন ৩ হাজার ৩০০ টাকা ও প্রধান শিক্ষকদের সাড়ে ৩ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়। বাকি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণের জাতীয়করণ তো দূরের কথা, অদ্যবধি একটি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাও এমপিওভুক্তির আওতায় আনা হয়নি।

তারা বলেন, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা ৪০ বছর বিনা বেতনে শিক্ষকতার পেশায় দায়িত্ব পালন করে মানবেতর জীবন যাপান করে আসতেছে। তাই শিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয়ের প্রতি সবিনয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের ঘোষনার জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় ইবতেদায়ী শিক্ষকরা কিছু ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন।

দাবিগুলো হলো-
১. মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় জাতীয়করণ করা।
২. প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তিসহ সব সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা।
৩. মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত কোডবিহীন মাদ্রাসাগুলোকে অবিলম্বে কোড নম্বরে অন্তর্ভুক্ত করা।
৪. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের পিটিআই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
৫. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদ সৃষ্টি করা।
৬. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলোকে স্থায়ী রেজিস্ট্রেশন প্রদান এবং ভৌত অবকাঠামো নিশ্চিত করা।

আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মো: শামসুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা রাখেন সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা। এছাড়া তাদের দাবির সাথে সংহতি প্রকাশ করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। এসময় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট, আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির শিক্ষকদের ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল সচিবালয়ের শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে বলে জানানো হয়।

Print Friendly, PDF & Email
 
 
জনতার আওয়াজ/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ