সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পালাক্রমে ধর্ষণের পর ছয় টুকরা, ৩ আসামির ৮ দিন করে রিমান্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বুধবার, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২ ২:২৩ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বুধবার, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২ ২:২৩ অপরাহ্ণ
জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে প্রবাসীর স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ছয় টুকরা করার ঘটনায় হত্যাকারী জিতেশ গোপ, তার দুই বন্ধু অসিত গোপ ও অনজিৎ গোপকে ৮ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার দুপুরে সুনামগঞ্জ আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় সিআইডি। পরে আদালত ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড মঞ্জুরের তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক মো. বদরুল আলম।
শনিবার ঢাকায় সিআইডি সংবাদ সম্মেলনে জানায় প্রাথমিকভাবে ঘাতকরা গৃহবধূ শাহনাজ পারভিনকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
শাহনাজ পারভীন জোসনা (৩৫) হত্যাকাণ্ডের পর অভি ফার্মেসির মালিক জিতেশ গোপকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি এবং তার দুই সহযোগী অনজিৎ চন্দ্ৰ গোপ ও অসিত গোপকে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের আবদুল মতিন মার্কেটের অভি ফার্মেসির ভেতর শাহানাজ পারভীন জোসনাকে পালাক্রমে ধর্ষণ ও হত্যার পর লাশ ছয় টুকরো করে গুম করার চেষ্টা করছিল জিতেশ ও তার বন্ধুরা।
শাহানাজ পারভীনের স্বামী ছুরুক মিয়া দীর্ঘদিন ধরে সৌদিপ্রবাসী। ছুরুক মিয়ার গ্রামের বাড়ি উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নারিকেলতলা গ্রামে। আর ওই নারীর বাবার বাড়ি উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের শেওড়া গ্রামে। শাহানাজ জগন্নাথপুর পৌরসভার পেছনের আবাসিক এলাকায় নিজস্ব দ্বিতল বাসায় ছেলেমেয়ে নিয়ে বসবাস করতেন।
বুধবার বিকালে ওষুধ কেনার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন শাহনাজ। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে স্বজনদের সন্দেহ হলে ফার্মেসির মালিকের বাসায় খোঁজ করে জানতে পারেন তিনি পরিবার নিয়ে ভোরে পালিয়েছেন।
পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাজেদুল ইসলামের উপস্থিতিতে পুলিশ অভি ফার্মেসির তালা ভেঙে ভেতরে বিছানার চাদর দিয়ে মোড়ানো শাহানাজের ৬ টুকরো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর ফার্মেসির মালিক জিতেশ পালিয়ে যায়। সে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার সইলা গ্রামের যাদব গোপের ছেলে। ১০ বছর ধরে জগন্নাথপুর বাজারে ওষুধের দোকানে চাকরি করে। এক বছর ধরে ওই মার্কেটে নিজে অভি ফার্মেসি খুলে ব্যবসা শুরু করে।