সুবিধাভোগী সাংবাদিকরা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দোসর ছিল : গিয়াসউদ্দিন
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
সোমবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪ ৮:০৫ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
সোমবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪ ৮:০৬ অপরাহ্ণ
এম আর কামাল, নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশের অনেক সুবিধাভোগী সাংবাদিকরা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের দোসর ছিল। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে কিছু কিছু সাংবাদিক আমাদের দলের নেতাদের নাম এফআই আরএ লিখে দিয়েছে। অনেক সাংবাদিক আমাদের লোকজনদেরকে ডিবির সাথে গিয়ে ধরিয়ে দিয়েছে।
সোমবার দুপুওে (৩০ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সাথে জেলা বিএনপির মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দীপুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জের সভাপতি আবু সাউদ মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, আবদুস সালাম, সাংবাদিক অহিদুল হক খান, রুমন রেজা প্রমুখ।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারের দোসরদের বিরুদ্ধে একটা কথাও আপনারা বলতে পারেননি। সাংবাদিকদের ওপর মামলা হুমকি ও মারপিট করা হয়েছে। আমাদের দলের ভেতরেও তো সবাই ভালো আছে এমনটা নয়, তবে আমরা যখন দলের কোন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অপরাধের তথ্য পেয়েছি সাথে সাথে একশন নিয়েছি। অনেকের আমার কথা ভালো না লাগতে পারে কিন্তু আমার মনে যা আছে আমি সেটা খুলে বলতে চাই, আমি মুনাফিক না।
তিনি আরও বলেন, ১৬ বছরের আন্দোলনে সবচাইতে বেশি নির্যাতিত হয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। আরো অনেকেই স্বৈরাচারী বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে আর অন্যদের আন্দোলনের মধ্যে পার্থক্য ছিল। সর্বশেষ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এক দেড় মাসের মধ্যে গণ-অভ্যুত্থান এটা কি শুধু ছাত্রদের, নিশ্চয়ই না। যারা এটা বলতে চায় তারা একটা ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে আবার দেশকে নিয়োজিত করতে চায়।
সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমরা যারা ১৬ বছর স্বৈরাশাসকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি এবং অন্যায় ভাবে নির্যাতিত হয়েছি। স্বৈরাচার যেখানে অন্যায় ভাবে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। লুটপাট করে অর্থ দেশের বাহিরে পাচার করে দিয়েছে। সিন্ডিকেট গঠন করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে জনগণকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিদ্যুৎ সেক্টরে তারা চুরি করে বিদ্যুতের রেট বাড়িয়ে জনগণের উপর বিলের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে।তিনি বলেন, আইন আদালতে গিয়ে ন্যায়বিচার পায় নাই প্রশাসনের কাছে গিয়ে সুখের কথা বলতে পারে নাই।
জেলা বিএনপির সভাপতি বলেন, গত ১৬ বছরে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্বৈরাচারী সরকারের উপর ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এবং ঘৃণা সৃষ্টি হয়েছে।কোটাবিরোধী আন্দোলনে আমাদের সন্তানরা অংশগ্রহণ করেছে। এটা নিশ্চয়ই প্রশংসার দাবি রাখেন। কিন্তু এই আন্দোলন কোন কালই সফল হতো না যদি, এই আন্দোলন শুরু করে সমাপ্তির ধারা মধ্য দিয়ে সরকারের পতন ঘটাতে না পারতো। এই আন্দোলনে ছিলাম আমরা রাজনৈতিক দলগুলা যারা স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছি এবং যারা এফেক্টেড হয়েছে জনগণ তাদের ক্ষোভ যে ছিল এই ১৬ বছরে সেটার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ছাত্র আন্দোলনের সময়। ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার পতন হয়েছে স্বৈরাচারীরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।