হাসিনার মন্ত্রী, পুলিশের রুই-কাতলা এবং আ. লীগের শীর্ষ নেতারা পালালেন কীভাবে?
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪ ৩:১৭ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪ ৩:১৭ অপরাহ্ণ
মোবায়েদুর রহমান
গুজব আকারে কয়েকটি খবর মাসাধিক কাল ধরে ভেসে বেড়াচ্ছিল। শুধু গুজব নয়, অনেকের মনেই এগুলো জ¦লন্ত জিজ্ঞাসা হয়ে ঘোরা ফেরা করছিল। সেগুলি হলো, আওয়ামী লীগ বড় একটি দল। তার অঙ্গ সংগঠনগুলোও অনেক বড়। বড় অর্থে আমি বোঝাচ্ছি, জনসমর্থন নয়। ডান্ডাবাজি। সাড়ে ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠনসমূহ অন্ধভাবে বিএনপি, জামায়াত এবং তাদের অঙ্গ সংগঠনসমূহকে বেধড়ক পিটিয়েছে, জেলে দিয়েছে, মেরে অঙ্গহানি করেছে, খুন করেছে, গুম করেছে, আয়নাঘরে পাঠিয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবারের পত্রিকার রিপোর্ট মোতাবেক, দুই লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এসব দুষ্কর্ম, অপকর্ম এবং গণহত্যার যারা নায়ক তাদের সিংহভাগ ৫ আগস্ট বিপ্লব এবং বিজয়ের পরপরই গ্রেফতার হলো না কেন? একদিন, দুই দিন এভাবে এক মাস চলে যায়। ৫/৭ জন ছাড়া আওয়ামী ঘরানার রাঘব-বোয়ালরা অধরাই থেকে যায়। তারা কি দেশে আছে? নাকি পালিয়ে বিদেশ গেছে? দেশে থাকলে পুলিশ, র্যাব, বিডিআর প্রভৃতি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের খুঁজে বের করতে পারছে না কেন? অথচ, শেখ হাসিনার আমলে দেখা গেছে যে, সুদূর পল্লী গ্রামের কোনো অখ্যাত ব্যক্তি যদি ফেসবুকে শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো স্ট্যাটাস দিয়েছে তাহলে দুইদিনের মধ্যে তাকে খুঁজে বের করে কাঠিখানায় তোলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিমন্ত্রী একবার দম্ভ করে বলেছিলেন যে, আওয়ামী লীগ যদি তার শত্রুকে খুঁজে বের করতে চায় তাহলে সেই ব্যক্তি যদি মাটির অনেক নিচেও অবস্থান করে তাহলেও তাকে খুঁজে বের করতে পারে। আসলে তিনি বা তারা বড়াই করেননি। বাস্তবে সেটা দেখিয়ে দিয়েছেন।
হাসিনার পতনের পর দেড় মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। আজও সাবেক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবাদুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক অর্থমন্ত্রী লোটাস কামাল, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আরাফাতসহ আওয়ামী পলিটিক্যাল লিডাররা কোথায়? আওয়ামী লীগের প্রধান খুঁটি ছিল পুলিশ। সেই পুলিশের ডিবি কমিশনার হারুন, জয়েন্ট কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারÑ এরা সব কোথায়? এরা নাকি পালিয়েছেন। কীভাবে পালালেন? কী করলো পুলিশ এবং বিজিবি? এদের সম্পর্কে উড়ো খবর অনেক দিন থেকেই ছিল। কিন্তু আমি দৈনিক পত্রিকাসমূহে এগুলো নিয়ে লিখিনি। কারণ, আমি কোনো কিছু লেখার আগে সেসম্পর্কে ভিডিও, অডিও বা মুদ্রিত কোনো ডকুমেন্ট বা এভিডেন্স হাতে না নিয়ে কিছু লিখি না। কিন্তু গত ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার দৈনিক প্রথম আলোর একটি বড় রিপোর্ট আমার বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া অনেক খবরকে করোবরেট করলো। তাই এখন আমি ঐ রিপোর্ট মোতাবেক বর্তমান সরকারকে প্রশ্ন করতে চাই, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক, এমপি বাহাউদ্দিন নাসিম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক এমপি মাহবুবুল আলম হানিফ সীমান্ত পাড়ি দিলেন কীভাবে? সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান নওফেল, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আরাফাত, সাবেক এমপি আলাউদ্দিন আহমেদ (নাসিম) এবং নারায়ণগঞ্জের শামীম ওসমান কীভাবে বিদেশে পালিয়ে গেলেন? কী করছিল বর্ডার গার্ড? কী করছিল পুলিশ? এসব পুলিশ অফিসার এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা আছে। তারপরেও তারা কীভাবে পালাতে পারে?
শেখ হাসিনার নিকট আত্মীয় শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, তদীয় সন্তান শেখ শারহান নাসের (তন্ময়), শেখ হেলালের ভাই শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এবং বরিশালের সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ এখন কোথায়? তারা দেশ ছেড়েছেন, এরকম খবর কোথাও প্রকাশিত হয়নি। বরং বলা হচ্ছে যে, তারা দেশের মধ্যেই আন্ডারগ্রাউন্ডে আছেন। তাই যদি হয় তাহলে সেনাবাহিনী এখন যেখানে মাঠে আছে, মাঠে আছে বিজিবি, র্যাব এবং পুলিশ, সেখানে এই লোকগুলিকে খুুঁজে বের করা কি খুব কঠিন কাজ?
॥দুই॥
৫ আগস্টের পরেই জানা গিয়েছিল যে, শেখ হাসিনার এক নিকট আত্মীয় আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ ভয়ঙ্কর ভবিষ্যৎ টের পেয়ে ৫ তারিখের আগেই ভারত চলে যান। আর ৩ আগস্ট ঢাকা সিটি কর্পোরেশন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস সপরিবারে সিঙ্গাপুর চলে যান। তবে তাপসের বড় ভাই পরশ ৩১ জুলাই আমেরিকা থেকে ঢাকা ফিরে আসেন। তারপর তিনি আর বের হতে পারেননি বলে শোনা যায়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুকে শেখ হাসিনার অপ্রদর্শিত আয়ের ট্রেজারার বলে মনে করা হচ্ছিল। সেই নসরুল হামিদ বিপুরও সঠিক অবস্থান জানা যায়নি। প্রথম আলোর খবর মোতাবেক, আওয়ামী লীগের অন্তত ২৭ জন নেতাকর্মী দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। ৫ আগস্টের সপ্তাহখানিক পরে অবৈধভাবে আওয়ামী ঘরানার আরো ১৩ নেতা পালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
যারা দেশ ছেড়েছেন তাদের মধ্যে আরো কয়েক জনের নাম পাওয়া গেছে। এরা হলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়ামের সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন, সাবেক এমপি আবু সাঈদ আল মাহমুদ ও শফিউল আলম চৌধুরী (নাদেল), আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক এবং শেখ হাসিনার সাথে ঘনিষ্ঠ বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, কার্য নির্বাহী সদস্য নির্মল কুমার চ্যাটার্জী প্রমুখ নেতাকর্মী দেশ থেকে পালিয়েছেন। আরো যারা পালিয়েছেন বলে খবর ভাইরাল হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, তার মেয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসিন বাহার এবং আওয়ামী লীগের আরেক ডান্ডাবাজ ফেনীর নিজাম হাজারী এমপিও দেশ ছেড়েছেন।
এই তালিকায় আরও রয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক), যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন (নিখিল), ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ (ইনান), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির (শয়ন), ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ, যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জয়দেব নন্দী প্রমুখ। দৈনিক প্রথম আলোর রিপোর্ট মোতাবেক জনগণের রোষ যে পুলিশ অফিসারের ওপর প্রবল সেই বিপ্লব কুমার সরকারও নাকি ১০ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম সীমান্ত দিয়ে দেশ ছেড়েছেন। গণশত্রু পুলিশ অফিসার অতিরিক্ত আইজিপি (বাধ্যতামূলক অবসরে), মনিরুল ইসলাম এবং ঘৃণিত অফিসার ডিবি হারুনসহ আরো কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা আত্মগোপনে আছেন। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীও অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়েছেন।
এরা প্রথমে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাচ্ছেন। তারপর সেখান থেকে অন্য দেশে যাচ্ছেন। যেমন ওবায়দুল কাদের ৪ আগস্ট প্রথমে সিঙ্গাপুর যান। তারপর সেখান থেকে তিনি নাকি দুবাই গিয়েছেন। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদের দেশত্যাগ আরো বেশি রহস্যজনক। তিনি বিমানযোগে প্রথমে দুবাই যান। তারপর সেখান থেকে বিমানযোগে বেলজিয়াম যান। বেলজিয়াম থেকে সড়ক পথে প্রায় ৫০০ কি.মি. দূরে তার ভাইয়ের বাসায় সপরিবারে উঠেছেন। যারা অবৈধভাবে গিয়েছেন তারা বেছে নিয়েছেন যশোর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, হবিগঞ্জ, সিলেট, দিনাজপুরের হিলি ও পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা সীমান্ত ব্যবহার করেছেন। এদেরকেও প্রথমে ত্রিপুরা, আগরতলা, আসাম ও মেঘালয় রাজ্যে অবস্থান নিতে হয়েছে। এরপর যারা পেরেছেন তারা সেখান থেকে অন্য কোথাও গেছেন। আর যারা পারেননি তারা এখনো ভারতে রয়ে গেছেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আখাউড়া-আগরতলা সীমান্তের আব্দুল্লাহপুর এলাকা থেকে চট্টগ্রাম-৬ আসনের সাবেক এমপি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীসহ তিনজনকে আটক করে বিজিবি। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এই নেতা প্রায় ২ কোটি টাকার বিনিময়ে ভারতে যাওয়ার রফাদফা করেছিলেন। তবে তিনি আটকে গেলেও এ সীমান্ত দিয়ে পাড়ি দিতে পেরেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ব্যাটালিয়ন ২৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, ফজলে করিম চৌধুরীর কাছে টাকা, পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। কী পরিমাণ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তাকে ভারতে পাচার করা হচ্ছিল, তা সঠিকভাবে বলতে পারব না।
যারা দেশ ছেড়েছেন তাদের মধ্যে আরো রয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ, যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জয়দেব নন্দি প্রমুখ।
এরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত কোথায় ছিলেন সেটা নিয়ে বিরাট ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। আইএসপিআরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, সর্বমোট ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, বিভিন্ন সেনানিবাসে যাঁদের আশ্রয় দেওয়া হয়, তাঁদের মধ্যে ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তি। ৫ জন বিচারক। ১৯ জন বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা। ২৮ জন পুলিশ কর্মকর্তা। ৪৮৭ জন পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য। বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ বিবিধ ব্যক্তি ১২ জন। ৫১ জন পরিবার-পরিজন (স্ত্রী ও শিশু)।
এই ৬২৬ ব্যক্তির মধ্যে কতজন সেনানিবাস ছেড়েছেন? কতজন সেনানিবাস ছেড়ে বেরিয়ে কোথায় গিয়েছেন? তার কোনো হদিস নাই। অবশিষ্ট কতজন এখনও রয়েছেন তাও পরিষ্কার নয়। যারা ভারতে অথবা অন্য কোনো দেশে পালিয়ে গেছেন তাদের সংখ্যা কম নয়। তাদের সংখ্যা কয়েক শত। তাদের প্রায় অধিকাংশই কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতা। এরা প্রত্যেকেই আওয়ামী শাসনামলে শত শত কোটি টাকা কামাই করেছেন (লুট করেছেন)। এসব টাকা পয়সা নিয়ে তারা কয়েক পুরুষ দিব্যি বসে বসে খেয়ে পরে বেঁচে থাকবেন। কিন্তু সমস্যা অন্যত্র। যেহেতু এদের কাছে কোটি কোটি টাকা আছে তাই তারা উপযুক্ত সময়ে মিলিত হবেন এবং বিদেশের শেল্টারে থেকে জুলাই আগস্টের বিপ্লব এবং ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবেন।
আওয়ামী লীগ নিজের নামে বাংলাদেশের মাটিতে সহজে দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু এই দেড় মাস পরেও পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, মোদি সরকার ইউনূস সরকারকে মেনে নেয়নি। মোদি সরকার গোপনে হাসিনাকে সাহায্য করছে। বাংলাদেশের জনগণের আওয়ামী বিরোধী রোষ কিছুটা প্রশমিত হলে ভারতীয় মদদে এরা বিপ্লব ও বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র শুরু করবে। এখন ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার ওপরে বর্ণিত পলায়ন ও আত্মগোপন সম্পর্কে সচেতন কিনা সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি সচেতন থাকে তাহলে এই আওয়ামী পলাতকরা যাতে দেশবিরোধী কোনো কিছু সমস্যা সৃষ্টি করতে না পারে তার জন্য এখন থেকেই অগ্রিম পদক্ষেপ নিতে হবে।
Email: journalist15@gmail.com