১২ বছর আগে গুম হওয়া জবি ছাত্রদল নেতার স্মরণে মোনাজাত
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
রবিবার, মার্চ ৯, ২০২৫ ৫:০৯ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
রবিবার, মার্চ ৯, ২০২৫ ৫:০৯ অপরাহ্ণ

জবি প্রতিনিধি
২০১৩ সালে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে গুম হওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা মাজহারুল ইসলাম রাসেলের স্মরণে ইফতারের পূর্বে দোয়া ও মোনাজাত করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদে শেরপুর জেলা ছাত্রকল্যাণের ইফতার মাহফিল ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওবায়দুল ইসলাম এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রাজ্জাক।
সভাপতির বক্তব্যে ওবায়দুল ইসলাম বলেন, মানুষের জন্মস্থানের প্রতি আলাদা একটা টান থাকে, নিজের এলাকার কাউকে দেখলে এগিয়ে যায়। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি। জীবনের পরবর্তী ধাপের জন্য একটি সুন্দর প্রস্তুতি নিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে যাব এজন্য পড়াশোনার বিকল্প নেই। স্বপ্ন থাকতে হবে বড়। আমাদের জেলার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা রাসেল ভাইকে আল্লাহ হেফাজতে রাখুক। আল্লাহ যেন ভাইকে তার পরিবারের কাছে ফেরত দেয়। যদি মৃত্যুবরণ করে তাকে যেন জান্নাতবাসি করেন।
অনুষ্ঠানে মাজহারুল ইসলাম রাসেলের ছোট ভাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল তানভীর স্মৃতিচারণ করেন।
তিনি বলেন, গত ৯টি বছর যাবৎ আমার পরিবার বুক পেতে বসে আছি, পৃথিবীতে এর চেয়ে কষ্টের কিছু নেই। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয় এসে ভাইয়ের দেখানো পথেই রাজনীতি করতেছি। মাঝখানে শুনলাম ভারতে কয়েকজন বাংলাদেশীর সন্ধান মিলেছে যারা বাংলাদেশ থেকে গুম হয়েছিল। এই খবর শুনে আমরা আবার আশায় বুক বাধছি। একটা সুসংবাদের আশায় প্রতিটা দিন যন্ত্রণায় কাটাচ্ছি। বাংলাদেশে আর কোন দিন গুম-খুনের রাজনীতি ফিরে না আসুক। আমি আমার ভাইয়ের জন্য দোয়া চাই, আল্লাহ তাকে যেখানেই রাখুক ভালো রাখুক।
ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঢাকা শহরে আমার এলাকার ছেলে মেয়ে দেখলেই আমি এগিয়ে যায়। তাদের পাশে দাঁড়াতে বললে আমি সেটা না করতে পারি না। এখানে এসে রাসেলের কথা শুনে আমি আবেগাপ্লুত হয়েছি। তার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল, তার চেহারাটা মনে পড়ে। আমরা তার জন্য দোয়া করব।
গুম হওয়া মাজহারুল ইসলাম রাসেলের বাড়ি শেরপুর জেলা নকলা উপজেলায়। পিতা আমিনুল হক ও মাতা মজিদা খাতুন দম্পত্তির দ্বিতীয় সন্তান রাসেল। শেরপুর সরকারি কলেজ শেষ করে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী। জবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় ২০১৩ সালে ৪ই ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ হয় রাসেল। রাসেল তেজগাঁও অঞ্চলের নাখালপাড়ায় থাকতো। বসুন্ধরা থেকে র্যাব-১ রাসেলকে উঠিয়ে নেয়। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও এখন পযর্ন্ত তার কোনো খোঁজ মিলে নি। তবে তার পরিবার এখনো শূন্যে বুক বেঁধে বসে আছেন যে, রাসেল ফিরবে।
জনতার আওয়াজ/আ আ
