২৮ অক্টোবর বিএনপি'র মহাসমাবেশ নৎসাত ”একটি ষড়যন্ত্র…… - জনতার আওয়াজ
  • আজ সন্ধ্যা ৭:৫৫, বৃহস্পতিবার, ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
  • jonotarawaz24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

২৮ অক্টোবর বিএনপি’র মহাসমাবেশ নৎসাত ”একটি ষড়যন্ত্র……

নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ: বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২, ২০২৩ ১২:১৬ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২, ২০২৩ ১২:১৬ পূর্বাহ্ণ

 

“ পরাজিত হয়নি গণতন্ত্র ”
আমি একজন সাচ্চা প্রত্যক্ষদর্শী- গত শনিবার, ২৮ অক্টোবরের দিন যা ঘটেছিল, তারই বর্ণনা দেবো আজ।
ঘটনার সূত্রপাত- শনিবার, বেলা ১২টার কিছুক্ষণ পরই, রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে (প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে) যেখানে তখন প্রচুর বিএনপি’র কর্মী সমর্থকে বেষ্টিত। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম, কয়েকটা পিকআপ ভ্যানে আওয়ামী লীগের কিছু কর্মী ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ঢুকে পড়ল। এমন অবস্থার প্রেক্ষিতে বিএনপি’র সাধারণ কর্মীরা তাদের উপরে চড়াও হয়। আশেপাশে থাকা গাছের ডাল ভেঙে ও পতাকার সাথে থাকা প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে আ’লীগের উশৃংখল কর্মীদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। এখানে অবশ্য তারা কিছু মারপিটও খায়। এ সময় পুলিশ উত্তেজিত বিএনপি কর্মীদের উপড় চড়াও হয়। তারা বিএনপি’র কর্মীদের লাঠিচার্জ শুরু করে। তখন সময় গড়িয়ে বেলা সাড়ে ১২টা বেজে গেছে। আশে পাশে অলি-গলিতে থাকা বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বিএনপি’র অসংখ্য নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হন, ফলে নেতা-কর্মীদের সংখ্যা বৃদ্ধি দেখে সাময়িকভাবে পুলিশ পিছু হটে। তবে পুলিশ পিছু হটলেও মুহুর্তের ভেতরে তাদের শক্তি বৃদ্ধি করে ঘটনাস্থলে ফিরে আসে। দেখা যায়, অসংখ্য পুলিশ সদস্যরা ধেয়ে আসছে, তাদের সাথে রয়েছে ‘সাউন্ড গ্রেনেড’ এবং ভারী অস্ত্রশস্ত্র। প্রথমেই সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থানকারী বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দেয় পুলিশ। শুরু হয় দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্ট ধাওয়া। এর মধ্যে পুলিশের পেছনে অবস্থান নেয় হাজার খানেক আ’লীগের উশৃংখল কর্মীরা, তাদের হাতে ছিল লোহার পাইপ, বাঁশ, কাঠের লাঠি সোটা প্রভৃতি। এর মধ্যে হঠাৎ দেখলাম, কিছু লোকজন ওই কাকরাইল মোড়ে অবস্থিত বাঁশ টিন দিয়ে স্থাপিত একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সের ছাউনিতে আগুন দিচ্ছে। আবার অন্যদিকে দেখতে পেলাম, পুলিশ বহনকারী একটি পাবলিক গাড়ি কে বা কাহারা পুলিশের সামনেই ভাংচুর করছে, অথচ পুলিশ নির্বাক দাড়িয়ে কিছুই বলছে না ভাংচুরকারীদের। পুলিশ কি ওইসময় দেশ ও জানমাল রক্ষার শপথ ভূলে গিয়েছিলো ? নাকি ভাংচুরকারীদের নিরব সমর্থন করছিল? কিছু লোকজন হৈচৈ করতে করতে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের প্রধান ফটক ধাক্কাধাক্কি করে খুলে ভিতরে প্রবেশ করে ঢিল ছোড়াছুড়ি করছে। আরো লক্ষ্য করলাম, ওই বাসভবনের ভিতরে থাকা পাহারারত কিছু পুলিশ প্রবেশ করা ব্যক্তিদের ঢিল ছোড়াছুড়িতে প্রতিরোধ করছে না। বরং পুলিশ বাসভবনের আরো ভেতরে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছে।
এমন দৃশ্য দেখে কেনো যেনো মনে হলো- পুলিশ তাদের ঢিল ছোড়াছুড়ি করার সুযোগ করে দিচ্ছে। এসময় আমি ওই এলাকায় অবস্থান অনিরাপদ মনে করি এবং আস্তে আস্তে সমাবেশস্থল বিএনপি কেন্দ্রীয় পার্টি অফিসের দিকে হাটতে শুরু করি। সময় তখন বেলা দেড়টা। পুরোদমে শুরু হয়ে গেছে বিএনপি’র মহাসমাবেশ, চারিদিকে মানুষ আর মানুষ।
এতো মানুষের সমাগম দেখে বিস্মিত হলাম! দীর্ঘ সময় যে দলটির চেয়ারপার্সন জনপ্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একটি বিতর্কিত মামলার রায়ে দলের নেতৃত্বে অনুপস্থিত, তিনি অনুপস্থিত থাকলেও আজকের এই সাফল্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, যিনি দূর-দেশে থাকলেও দলকে সু-সংগঠিত করে এগিয়ে নিচ্ছেন।
সাংবাদিকতা করার সুবাদে দু’একজন সাংবাদিকের মতে বুঝলাম – আজকে বিএনপির সময়ের শ্রেষ্ঠ মহাসমাবেশ হচ্ছে। তীব্র রোদ, সবাই ঘেমে একাকার, তারপরও বিএনপি’র কর্মী সমর্থকগণ অনড়। চোখে মুখে তাদের প্রতিবাদের ঝড়, কেউ কেউ বলছেন “এই সরকারকে বিদায় না করে ঘরে ফিরছি না ”। সময় গড়িয়ে ঠিক দুইটা নাগাদ হঠাৎ সমাবেশের পশ্চিম দিকে লক্ষ্য করলাম- পুলিশ এবং বিএনপি’র সমর্থকদের মাঝে আগের সেই উত্তেজনা, যা রাজধানীর রাজমনি ইশা খাঁ হোটেল পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছে। আমি তখনও ভাবিনি কাকরাইল মোড়ের সেই উত্তাপ এত দূর গড়াবে। বেলা ২টা ২০ মিনিট, নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে অনেক কষ্টে পরিচিত কিছু নেতা-কর্মীর সহযোগিতায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় পার্টি অফিসে প্রবেশ করি। নামাজ আদায় শেষে দেখলাম- কয়েকজন খিচুড়ি খাবার ব্যবস্থা করেছে। পরিচিত একজনের সুবাদে আমার ভাগ্যে একটা প্যাকেট জুটলো। খাবার শুরু করতে যাবো এমতাবস্থায় বাহির থেকে প্রচন্ড আওয়াজ ভেসে এলো, যেনো সাউন্ড-গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটছে। আমার আশেপাশের সবাই তখন আতঙ্কিত। খাবার ফেলে দ্রুত নিচে নামলাম, বাইরে বের হতেই চোখে পড়লো সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দে সবার চোখেমুখে আতংকের ছাপ ! টিয়ারশেলের ঝাঁঝালো ধোঁয়ার গন্ধ পেলাম, চোখে জ্বালাপোড়া শুরু হলো। বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশের স্থান নয়াপল্টনের এভিনিউ মহাসড়কটি যেনো এক অশান্তির রূপ নিয়েছে। শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে বসে থাকা লাখো জনতা দিক-বেদিক ছোটাছুটি শুরু করল। বিভিন্ন সংবাদ আসছে, কেউ কেউ বলছেন- সন্ত্রাসী বাহিনী ও পুলিশ নটরডেম কলেজের ওদিকটায় অবস্থান নিয়েছে, তারা হামলা চালাবে। এমন কথাবার্তা যখন শুনছি, ঠিক ওই মুহুর্তেই শুরু হলো- মুহুর্মুহু কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড- গ্রেনেড এবং রাবার বুলেটের আক্রমণ। ইতোমধ্যেই বিএনপি’র মহাসমাবেশের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হলো এবং মঞ্চের মাইক বন্ধ হলো ! আর কে শোনে কার কথা ! উপস্থিত নেতা-কর্মীরা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলো কিন্তু পুলিশের অস্ত্রের কাছে নিরস্ত্র সাধারণ জনগণের টিকে থাকার সাধ্য নেই; তা আবারো প্রমানিত হলো। হ্যান্ডমাইকের মাধ্যমে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অতি সংক্ষেপে ‘২৯ অক্টোবর হরতাল’ ঘোষণা করেই মঞ্চ ত্যাগ করলেন। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক ছিলো আমাদের মাথার উপর দিয়ে টিয়ার শেল এবং রাবার বুলেট এসে মঞ্চে পড়তে লাগলো। বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসের দিকে লক্ষ্য করে দেখলাম- গুলিবিদ্ধ অসংখ্য নেতা-কর্মীতে ভরে যাচ্ছে সিঁড়ির সামনের জায়গাটা। কেউ মুখে, কেউ বুকে, কেউ হাতে গুলিবিদ্ধ। মহাসমাবেশের দু’দিক থেকে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সম্মিলিতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে এই হামলা। কাঁদানে গ্যাসের ঝাঁঝালো ধোঁয়া থেকে বাঁচতে উপস্থিত সাধারণ নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড স্থানে আগুন জালিয়ে সাময়িক বাঁচার প্রচেষ্টা করছিলো। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হল । আশপাশ ভবনের ছাদে অবস্থান নেয়া প্রসাশনের লোকজন সাউন্ড- গ্রেনেড ও গুলি চালিয়েছিলো । আমি স্পষ্ট বুঝতে পারলাম এসমাবেশ বানচালের এটিও একটি অংশ , না হলে তারা সুউচ্চ ভবনের ছাদে কেনইবা অবস্থান নেবে ? বাধ্য হলাম অবস্থান ত্যাগ করতে, একজন ডাক্তার বন্ধুর সঙ্গে একটা গলিতে গিয়ে আশ্রয় নিলাম। দেখতে পেলাম, অনেক বড় বড় নেতারা বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নিয়েছেন। আমি কল্পনাও করতে পারিনি, সেই বেলা ১২ টার ছোট্ট একটি গোলযোগের ঘটনা এতোটা ভয়াবহ রূপ নেবে, নৎসাত করবে লক্ষ লক্ষ মানুষের এই মহাসমাবেশ।
আমার ব্যাক্তিগত অভিমত- সেই ছোট্ট গোলযোগটিই ছিল ষড়যন্ত্রের প্রথম ধাপ। আমি পরে অনেক জেনে শুনে বুঝলাম, আসলে এটা পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ছিলো। যার মাধ্যমে বিএনপি’র এই মহাসমাবেশটাকে নৎসাত করে দেয়া হয়েছে। এই শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশকে পন্ড করার মধ্যে দিয়ে প্রাণ কেড়ে নেয়া হয়েছে- বিএনপি’র বেশ কজন নেতা-কর্মীর এবং পুলিশ সদস্যের, আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক সহকর্মীও।
ষড়যন্ত্র করে বিএনপি’র এই মহাসমাবেশ ভন্ডুল করার মধ্যে দিয়ে লাভ হলো কার?
আসলে যারা নৎসাত করে দিয়েছে, তারা সাময়িক সন্তুষ্ট হলেও পরাজিত হয়নি গণতন্ত্র, গণতন্ত্রকামী দেশের জনগণ সফল হবেই একদিন, দেশে প্রতিষ্ঠিত হবেই গনতন্ত্র। উল্লেখ্য- ১৯৯০ সালেও বেগম খালেদা জিয়াই স্বৈরাচারকে হটিয়ে দেশে প্রতিষ্ঠিত করেছিলো গণতন্ত্র। আজকের এই ষড়যন্ত্রকারীরা ভবিষ্যতেও একই শিকার হতে পারে!
সর্বশেষ এই লেখাটিতে গত ২৮ অক্টোবরে ঘটে যাওয়া কয়েকটি বৃত্তান্ত তুলে ধরছি সংক্ষিপ্তভাবে:
(ক). একদিকে বিএনপি’র মহাসমাবেশ পন্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে ডিবি পুলিশ গাড়ি, এ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতাল, মোটরসাইকেল এবং পুলিশ সদস্যদের আনা রিকুইজিশন গাড়িতে পেট্রোল বোমা মেরে পুড়িয়ে দিয়ে বিএনপি’র মতো একটি গণতান্ত্রিক দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু বাস ড্রাইভার ও কন্ট্রাকটর সবকিছু মিডিয়ার সামনে বলে দিয়েছে। পুলিশ, সরকারি দল ও বিরোধী দলের ত্রিমুখী সংঘর্ষের বলি হলো নিরীহ পুলিশ সদস্য।
সামান্য সাধারণ জ্ঞান থাকলেই বুঝা যায় যে, সরকারি দলের সমাবেশের (বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেইট) খুব কাছাকাছি দৈনিক বাংলা মোড়ে কেনো পুলিশ সদস্য মারা যাবে? বিরোধী দলের সমাবেশ ছিলো নয়াপল্টন এবং মতিঝিলে। সেখানে তো কেউ মরলো না? মরলো সরকারি দলের সমাবেশ এলাকায়! এই খুনের দায় কার? এই প্রশ্নের জবাব হয়তো দেবে মানুষ কোনো একদিন।
(খ). এছাড়া যেখানে পুলিশ সদস্য মারা গেছেন, এর একটু দূরেই ডিসি এক প্লাটুন পুলিশ (২০-৩০জন) সহ দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে- একজন পুলিশ সদস্য মাটিতে পড়ে গেলো, অথচ অন্য পুলিশেরা তাকে বাঁচাতে যায়নি। যখন তাকে মারছিলো, তখনও এতো জন পুলিশ ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ছিল। তাকে বাঁচানোর নুন্যতম চেষ্টাটুকুও করেনি। কারণ পুলিশ সদস্যরা বুঝেছিল যে, নেপথ্যের কুশিলবরা পুলিশের একটা লাশ হয়তো চাচ্ছিলো। তারা লাশ পেয়েছে। এখন পুলিশের এই লাশ নিয়ে রাজনীতি করতে পারবে এবং করছেও। পুলিশের সাধারণ সদস্যরা এই সত্য বুঝতে পেরেছেন নিশ্চয়ই।
(গ). পুলিশ হাসপাতালের নিরাপত্তা দেয়াল অত্যন্ত সুরক্ষিত। সুরক্ষিত দেয়াল ভেদ করে পুলিশ হাসপাতালে বাহির থেকে কারো পক্ষে গাড়ি পোড়ানো সম্ভব কি? এমন প্রশ্নের জবাবও হয়তো দেবে জনগন একদিন।
(ঘ). বিএনপি’র মহাসমাবেশকে সামনে রেখে রাজধানীর মহাখালীতে খাজা টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় সারাদেশে ইন্টারনেট ব্যবস্থা ডাউন এবং ডিজিটাল যোগাযোগে বাধার বিষয়টিও জনমনে অনেক প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। দেশবাসীর মনে আরো প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে পুলিশের সামনেই গাড়ি ভাংচুড় ও আগুন দেয়ার দৃশ্য। সত্য প্রকাশ হবেই একদিন, জানবে দেশ ও জনগন। এই সাজানো নাটকের শেষ অংশ এখন চলছে, ঘটনা ঘটিয়েছে কারা তার অসংখ্য ভিডিও ফুটেজ ভেসে বেরাচ্ছে নেট দুনিয়ায়, দেখছে দেশের জনগন। শুনছে ভুক্তভোগীদের স্বাক্ষাৎকার, তারা স্পষ্ট বলছে- প্রসাশনের লোকজনের সামনেই আমার গাড়ি ভাংচুর করেছে, আগুন দিয়েছে, তারা কেউ এগিয়ে আসেনি। কেউ কেউ বলেছে- তাদের সহযোগীতায় সরকার সমর্থিত সন্ত্রাসীরা এই অপরাধগুলো ঘটিয়েছে। দেখেও যেন দেখেনি তারা, অথচ মামলা হয়েছে হত্যা, বিষ্ফোরক, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুরের। দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আটক করা হয়েছে দলের প্রভাবশালী নেতা ও কর্মীদের। আমার এই প্রতিবেদনের সঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয় থেকে ৩১ অক্টোবরের দেয়া বিবৃতির সাথে মিল রয়েছে। বিবৃতিতে তারা বলেছেন ২৮ অক্টোবরের সহিংশতাকারীরা ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক।
অপরাধী এলাকা ঘোষনা দিয়ে, হলুদ ফিতা ঝুলিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দলের প্রধান কার্যালয়টি । যেন তারা কার্যালয় থেকে কোনোরকম কার্যক্রম চালাতে না পারে । ষড়যন্ত্রের রকমারি দৃশ্য দেখে সকলেই এক বাক্যে বলবে এটি একটি মহাষড়যন্ত্র।
লেখকঃ রুদ্র রহমান

Print Friendly, PDF & Email
 
 
জনতার আওয়াজ/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com