৫ আগষ্ট পরবর্তি ফেনী-৩(দাগনভূঁইয়া-সোনাগাজী) আসনের বিএনপির হালচিত্র
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪ ৬:০৮ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪ ৬:০৮ অপরাহ্ণ
জনতার আওয়াজ জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
দীর্ঘদিন রাজনৈতিক শীতনিদ্রার অবসানে বিএনপিকে হঠাৎ চাঙ্গা হতে দেখে স্থানীয় জনগন খুব প্রশান্তি অনুভব করছিল। কিন্তু না হিতের বিপরীত ! ৪ আগষ্ট প্রকাশ্য দিবালোকে ফেনী শহরে যারা পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা করেছিল, সোনাগাজী থানার বিএনপি নেতারা তাদেরকে বিরাট আর্থিক উৎকোচের বিনিময়ে নিরাপত্তা প্রদান করে।
প্রকাশ্য লোক মুখে বলাবলি করতে শোনা যাচ্ছে সোনাগাজী থানা যুবদলের সভাপতি সোনাগাজীর সদ্য খুনি মেয়র খোকনকে নিজ গৃহে প্রাথমিক নিরাপত্তা প্রদান করে এবং পরদিন খোরশেদের বড় ভাই সৈয়দ আলমের বিশেষ নিরাপত্তা পাহারায় নিরাপদে এলাকা ত্যাগ করতে সহযোগিতা করে।এর বিনিময়ে সে (কোটি টাকার ) লেনদেন হয়েছে বলে বিশেষ সূত্র নিশ্চিত করেছে।এছাড়াও সওদাগর হাটের বালু মহলের বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধা লীগ সভাপতি ভুলুর খুনী ছেলেকে বিশেষ নিরাপত্তা প্রদান করে।
এছাড়াও যুবনেতা খোরশেদের বিরুদ্ধে অসংখ্য দখল এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।যেমন দোকান দখল,চরখোন্দকার,চরদরবেশের শতাধিক মৎস ভর্তি দীঘি দখলের অভিযোগ রয়েছে।
নিরাপদে পালিয়ে যেতে দেওয়া হত্যা মামলার আসামী যুবলীগ নেতা অপু এবং কুখ্যাত খুনী মেয়র খোকনের আগ্নেয়াস্ত্র গুলি বর্তমানে খোরশেদ এবং তার সহযোগীদের কাছে আছে বলে বিশেষ সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আর খোরশেদকে বিশেষভাবে রক্ষনাবেক্ষন করছে বর্তমান সোনাগাজী থানা বিএনপির সভাপতি প্রত্যাশী , খুনী এমপি নিজাম হাজারীর বিশ্বস্থ জয়নাল আবদিন বাবলু।উল্লেখ্য গত ১৭ বছরে জয়নাল আ.বাবলু নিজাম হাজারীর সাথে আতাঁত করে ১ হাজার কোটি টাকার ঠিকাদারী কাজ সম্পন্ন করেছে ! এমনকি বর্তমানেও জয়নাল আবদিন বাবলুর ডায়মন্ড কন্সট্ট্রাকশান ঠিকাদারী ফার্মের নামে নিজাম হাজারীর থেকে আতাঁত করে নেওয়া ১০০ কোটি টাকার প্রজেক্টের কাজ চলমান।
অন্যদিকে সোনাগাজীর ৩ নং মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের সদ্য পলাতক খুনী চেয়ারম্যান বাদলের সাথে একই ইউনিয়নের বিএনপির সাবেক চেয়ারম্যান,যুবদল নেতা মিনারের যৌথ ব্যবসা রয়েছে শোনা যাচ্ছে।৪ তারিখ ফেনীতে নিরস্ত্র ছাত্রদের উপর প্রকাশ্যে গুলি করার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে পলাতক,লুটেরা সন্ত্রাসী চেয়ারম্যান বাদলের বিরুদ্ধে । অথচ যুবদল নেতা মিনার প্রথমত এই খুনী চেয়ারম্যানকে তার নিজ গৃহে রাত যাপন করায় এবং পরদিন নিরাপদে এলাকা ত্যাগ করতে সহায়তা করে ! এখানেও নগদ এবং চেকে কোটি টাকার লেনদেনের জোর গুন্জন শোনা যাচ্ছে !
অপরদিকে ৫ নং চরদরবেশ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান , থানা বিএনপি নেতা কালামের বিরুদ্ধেও অসংখ্য চাঁদাবাজি ও দখলের অভিযোগ উঠেছে।
উল্লেখ্য এই কালাম চেয়ারম্যানও ঠিকাদার ফার্ম ডায়মন্ডের অংশীদার !
৫ নং ইউনিয়নের খুনী চেয়ারম্যান , ইলিয়াছ পুত্র ভূট্টুকেও একই কায়দায় কালাম চেয়ারম্যান প্রাথমিক নিরাপত্তা শেষে নিরাপদে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, আগামীর বাংলাদেশের রাস্ট্রনায়ক জনাব তারেক রহমানের কাছে আকুল আবেদন সোনাগাজী থানা বিএনপিকে বাঁচাতে অতি দ্রুত বিশ্বস্ত তদন্ত সাপেক্ষে এই সুবাধাবাদি দূর্নীতিবাজ নেতা খোরশেদ,বাবলু,মিনার এবং কালামের বিরুদ্ধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করুন।ধন্যবাদ-
অনুরোধে সোনাগাজীর তৃণমুল বিএনপি।