জনতার হৃদয়ের স্পন্দন তারেক রহমান - জনতার আওয়াজ
  • আজ সকাল ১১:১৫, শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
  • jonotarawaz24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

জনতার হৃদয়ের স্পন্দন তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ: সোমবার, মার্চ ৬, ২০২৩ ১১:৩৪ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: সোমবার, মার্চ ৬, ২০২৩ ১১:৩৪ অপরাহ্ণ

 

অধ্যপাক ড. মোর্শেদ হাসান খান

মার্চ ৭ — বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে কালো অধ্যায়। ২০০৭ সালের এই দিনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হন শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীরউত্তম ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়া দম্পতির জেষ্ঠ্যপুত্র তারেক রহমান।
এদিন ভোর রাতে ওয়ারেন্ট, মামলা, জিডি, এমনকি সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়াই অবৈধ এক-এগারোর সরকারের নির্দেশে ঢাকা সেনানিবাসের শহিদ মইনুল রোডের ৬ নম্বর বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পরদিন ঢাকার কাফরুল থানা পুলিশ একটি জিডি করে ও গুলশান থানায় চাঁদা দাবির মামলা করা হয়। পরবর্তী সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়ে একে একে ১৭টি চক্রান্তমূলক মামলা।
গ্রেপ্তারের আগে ও পরে কিছু মিডিয়া প্রতিষ্ঠাত তাঁর বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারসহ নানা মিথ্যাচারের কল্পকাহিনী ছড়িয়ে তাঁর চরিত্র হনন ও ইমেজে কালিমা লেপনে লিপ্ত হয়। কিন্তু অদ্যাবধি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতি প্রমাণিত হয়নি।
বাংলাদেশ বিরোধী এক-এগারোর ষড়যন্ত্রকারীদের মূল টার্গেট হন — ‘তারেক রহমান’। প্রায় ১৫ বছরে রাষ্ট্রীয় সর্বশক্তি দিয়ে টাস্কফোর্স, দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকসহ সকল সংস্থাই দেশে-বিদেশে তন্ন তন্ন করে অনুসন্ধান করেও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, চাঁদা দাবি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। ইতোমধ্যে কয়েকটি মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতিও দিয়েছেন আদালত।
কারান্তরীণ অবস্থায় তারেক রহমানের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। দীর্ঘ এক বছর চার মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জামিনে মুক্তি পান তিনি। ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তাঁকে উন্নত চিকিৎসার্থে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সপরিবারে লন্ডনে অবস্থান করছেন।
সম্প্রতিক কালে বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত রাজনীতিকের নাম তারেক রহমান। বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিএনপি তথা তারেক রহমান নামটি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়। তাকে নিয়ে একটি পক্ষের অভিযোগের যেমন কোনো কমতি নেই তেমনি দেশের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর আক্ষেপও তাকে নিয়ে অনেক।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জাতীয়তাবাদী রাজনীতি এক অমোঘ বাস্তবতা। তাই রাজনৈতিক দল হিসেবে অনেক দেশপ্রেমিকের প্রথম ও প্রধান পছন্দ বিএনপি। সেই বিএনপির আগামীর কাণ্ডারি যে তারেক রহমান সেটি দেশবিরোধী অপশক্তি ও তাদের ভিনদেশি প্রভুরা ভালোভাবেই জানেন। সে কারণেই তাঁকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে তাঁরা। তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারই শুধুই নয়, তারা চেয়েছিলো তারেক রহমানকে চিরতরে শেষ করে দিতে। তাইতো কারাগারে তার প্রতি যে নির্মম নির্যাতন চালানো হয় সেটি ছিলো নিষ্ঠুরতম জঘন্য আচরণ। এই অমানবিক আচরণই প্রমান করে তাদের টার্গেট কেবল একজন তারেক নন দেশের পুরো জাতীয়তাবাদী শক্তি।
পরিবার থেকে শৈশবেই সুস্থ রাজনীতির দীক্ষা গ্রহণ করেন তারেক রহমান। পিতা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান ঘোষক, সেক্টর কমান্ডার এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। মাতা বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, দেশ ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীন দেশনেত্রী, মাদার অব ডেমোক্রেসি বেগম খালেদা জিয়া। সুশৃঙ্খল জীবনাচরণ আর পরিমিতি বোধের মধ্যে বেড়ে ওঠা একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক তিনি। তাইতো যারা দেশ বন্ধক রেখে রাজনীতি করেন কিংবা যারা দাসখত দিয়ে দেশের মসনদ আঁকড়ে থাকতে চান তাদের পথের বাধা তিনি । কিন্তু কোটি কোটি দেশপ্রেমিকের চোখে তারেক রহমান সম্ভাবনার আগামীর বাংলাদেশ। মা-মাটি ও মানুষের মুক্তির কাণ্ডারি।
তারেক রহমানের প্রতি দেশের একটি পক্ষের রোষানলের শুরু তাঁর ক্যারিশমেটিক লিডারশিপের কারণে। যারা মনে করে দেশটি কেবল তাদের বাপের ভিটা তারা তারেক রহমানের এই নেতৃত্বগুনের জন্যই আতঙ্কিত। কেননা তারা জানে ভোজবাজির রাজনীতি আর চেতনার ব্যবসায় করে দেশের শিক্ষিত-সচেতন মানুষকে আর বেশিদিন বুঁদ করে রাখা যাবে না। আগামীর বাংলাদেশ হবে দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তির। আর সেই নেতৃত্বে অবিশ্যম্ভাবী আসবেন তারেক রহমান।
বাংলাদেশে তৃণমূল রাজনীতির রূপকার তারেক রহমান দেশের সবচেয়ে বৃহৎ গণমানুষের দল বিএনপিকে একটি সঠিক নির্দেশনার ভিত্তিতে পরিচালনা করছেন। ষড়যন্ত্রকারীদের কোপানলে পড়ে দীর্ঘ প্রায় দুই দশক বিদেশে থাকলেও তিনি সার্বক্ষণিকভাবে যুক্ত থাকছেন দেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে। দলের প্রতিটি কার্যক্রম তাঁর নিরবচ্ছিন্ন তদারকির আওতায়। তাইতো বিএনপি এখন অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী সংগঠন। দলের মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা ও বিকাশে বিএনপি যে পারঙ্গমতা দেখাচ্ছে সেটি তারেক রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই সম্ভব হচ্ছে।
একথা দিবালোকের ন্যয় স্পষ্ট, দেশ এখন এক ভয়ঙ্কর খারাপ সময় পার করছে। রাজনৈতিক অচলাবস্থা, গণতান্ত্রিক বন্ধ্যাত্ব, অর্থনৈতিক স্থবিরতা আর বৈশ্বিক অস্থিরতার এই ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে দেশের প্রতিটি জনগণ আতঙ্কিত সময় পার করছেন। এক ধরণের অনিশ্চয়তাকে সঙ্গী করে তারা তাকিয়ে আছেন অন্ধকারের দিকে, কখন আলো আসবে। কখন অবসান হবে এই জুলুম নির্যাতন আর নিপীড়নের। কবে বন্ধ হবে এই লুটপাট আর সীমাহীন দুর্নীতির। কখন, কবে চেতনার ধ্বজাধারী উন্নয়নের নামে দেশ বিকানো গোষ্ঠীর হাত থেকে নিস্তার পাবে বাংলাদেশের মানুষ। তারা অপেক্ষায় আছে একটি দেশপ্রেমিক সরকারের। যেই সরকার দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের কথা বলবে। যেই সরকার এদেশের সকল বর্ণ-গোত্র আর জাতি-গোষ্ঠীকে এক সুতোয় বেঁধে রচনা করবে উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার মহাকাব্য। যেই সরকার জাতির মন-মনন থেকে হিংসা আর প্রতিশোধের বিষবাস্প উড়িয়ে দিয়ে পারস্পরিক সৌহার্দ আর শান্তির বীজ বপন করবে। মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। রাজনীতি থেকে শুরু করে সামাজিক আচার-আয়োজনে আবারো ফিরে আসবে বাংলার হারানো ঐতিহ্য।
‘তারেক রহমান’ একজন দূরদর্শী নেতা। নানামুখী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে তিলে তিল নিজেকে যোগ্য ও দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন তিনি। তাই আজ তিনি বাংলাদেশের জন্য ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক। যেমনটি প্রাসঙ্গিক দেশের জন্য জাতীয়তাবাদী শক্তির পুনর্জাগরণের। তাইতো ইতোমধ্যে রাষ্ট্র সংস্কারের একটি পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন জাতির সামনে উপস্থাপন করেছেন তারেক রহমান। সেই গাইডলাইন অনুযায়ী কাজ করছে বিএনপি। তাতে সাড়া জেগেছে রাজনীতির মাঠ থেকে শুরু করে চায়ের আড্ডায়। মানুষ আবারো স্বপ্ন বুনছে। তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন একটি সুন্দর সোনালী সকালের জন্য। সম্ভাবনার সেই সকাল এদেশে আসবে দেশপ্রেমিক শক্তি বিএনপির হাত ধরেই। আর সামনে থেকে নেতৃত্ব দিবেন কোটি মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন ‘দেশনায়ক তারেক রহমান’।

লেখক মহাসচিব, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলঅদেশ-ইউট্যাব ও সদস্য, বিএনপি মিডিয়া সেল

Print Friendly, PDF & Email
 
 
জনতার আওয়াজ/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ